নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চালকের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইকালে পালানোর সময় গণপিটুনি দিয়ে মো. জিয়াউদ্দিন পারভেজ নামে এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১৬নং স্লুইচ সংলগ্ন বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
থানাসূত্রে জানা যায়, আটককৃত পুলিশ সদস্যের নাম জিয়া উদ্দিন পারভেজ (২৩)। তিনি নোয়াখালী পুলিশলাইনসে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কচুয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটিতে আছেন কনস্টেবল জিয়া উদ্দিন পারভেজ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৯টার দিকে পুলিশ সদস্য জিয়া উদ্দিন পারভেজ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার থেকে একটি অটোরিকশা ভাড়া নেন। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী চরফকিরা ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় গিয়ে চালকের চোখেমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধাবাজার এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ওই সময় ভুক্তভোগী অটোচালকের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ছিনতাইকারী ওই পুলিশ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি মরিচের গুঁড়ার পলিথিন উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে এক সেট পুলিশের ইউনিফরম পাওয়া যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাজ্জাদ রোমন জানান, স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে সাথেসাথে রাত ১২টার দিকে আটক মো. জিয়া উদ্দিন পারভেজ নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে পুলিশ কনস্টেবল (বিপি-৯৮১৮২২২৬৪৩) পদে কর্মরতকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে অন্যলোকের জন্য যে আইনি পদক্ষেপ; তার জন্যও একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকালে পুলিশ সদস্য আটক হওয়ার ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও এ ঘটনা ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নবজ্যোতি খীসাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দশ টাকার জন্য দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা