সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ দিনাজপুর খানসামা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে অসহায় কুলসুম বেগমের বাড়িভিটাসহ ২৭ শতক জমি দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত লিটন ও লতিফ বাহিনী।
অসহায় কুলসুম বেগমের বাড়িভিটাসহ ২৭ শতক জমি দখলের জন্যে দিনাজপুর খানসামা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে জাহ্ঙ্গাীরপুর গ্রামে লুটপাট, বাড়ি ভাংচুর অগ্নিসংযোগের মত তান্ডব ও মিথ্যা মামলাসহ নানান ভাবে হয়রানী করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মো: লিটন ও আব্দুল লতিফ বাহিনী।
১৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত অভিযোগ করেন খানসামা উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর (হলদিপাড়া) গ্রামের মো: নাসির উদ্দিনের স্ত্রী কুলসুম বেগম। তিনি সাংবাদিকদের মৌখিক ভাবে বলেন, আমি ও আমার পরিবার জাহাঙ্গীরপুর মৌজার ৭৮ নং খতিয়ানের ৭৮৫ নং দাগের ২৭ শতক জমির ক্রয় সুত্রে মালিক এবং সেই সুত্রে ঘরবাড়ি বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। এই জমিটি অবৈধভাবে দখলের জন্যে স্থানীয় প্রভাবশালী ধনার্ঢ্য ব্যক্তি আব্দুল লতিফ,মো: লিটন, মো: আসাদুজ্জামান মো: মোর্শেদুল ইসলাম ও মো: আব্দুল মান্নানসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা পরস্পর যোগসাজোশে বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, আবাদি জমির গাছকাটা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ জমি থেকে উচ্ছেদ্দের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে। প্রভাবশালী হওয়ার কারনে স্থানীয় ভাবে বিচার শালিশ করার চেষ্টা করেও আমরা ন্যায় বিচার পাইনি।
আরও পড়ুন- দিনাজপুরে টিকা নিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র নিহত
এব্যাপারে খানসামা থানায় বারংবার অভিযোগ করেও কোনো আইনী সহযোগীতা পাইনি। আমরা গরীব মানুষ তাই পুলিশ আমাদের কোনো কথাই শুনতে চায় না। পুলিশের কাছে কোনোরুপ সহায়তা না পেয়ে বাধ্য হয়েই আমি এবং আমার স্বামী আদালতে মামলা করেছিলাম। মাননীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এই মামলায় আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং তাদের করা মিথ্যা মামলাগুলি খারিজ করে দেন। আদালতের কাগজপত্র নিয়ে পুলিশের নিকট সহযোগীতা চাইলেও পুলিশ এগুলো ভুয়া কাগজ বলে আমাদের কথা কর্ণপাত করেনি। পরবর্তীতে বিষয়টি আদলতকে অবহিত করলে আদালত থানা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব করেন এবং জানতে চান কেনো আদালতে কাগজ ভুয়া মনে হচ্ছে। পরে আদালতের কাছে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের কর্মকর্তা ভুল স্বীকার করায় পরবর্তীতে এমন যেন আর না হয়,সে ব্যাপারে কড়া নিদের্শ দেন আদালত।
তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর পুলিশ আরো হিংসাত্বক হয়ে নানান ভাবে আমাদের হয়রানী করতে শুরু করে দেয়। আমার স্বামীকে প্রভাশালী লিটনের সাজানো মামলা গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে পুলিশ। তারা যে কোনো সময় জমিটি দখলের জন্যে আমাদের স্ব-পরিবারে উচ্ছেদ করতে প্রানেও মেরে ফেলতে পারে বলে আমরা শংকিত। আমি একজন অসহায় নারী, আমরা তাদের অর্থের সাথে পেরে উঠছি না, দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিষ্ঠুরতার স্বীকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি এবং আমার পরিবার প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার দাবী করছি।
আরও পড়ুন- শীতকে উপেক্ষা করেই বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত ফুলবাড়ীর বোরো চাষিরা