আলোচিত ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা-বরগুনা রুটের অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লেগে শতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঐসময় ঝালকাঠির সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী দায়িত্বে অবহেলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিলো।
এ ঘটনায় সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী’কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) করা হয়েছে। এ তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিশেষ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঢাকায় যোগদানের জন্য মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) তিনি ঝালকাঠি ত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম কুমার দাস।
৫ জানুয়ারী রতন কুমার ঢালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে ওএসডি’র কারন তিনি এড়িয়ে যান। ঘটনার দিন তিনি কোথায় ছিলেন সে প্রশ্নের জবাবও তিনি দেননি।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল ঝালকাঠি সিভিল সার্জনকে লঞ্চ দুর্ঘটনার পর তলব করে পাননি বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র।
গত ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সারে ৩ টা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত লঞ্চে দগ্ধ ৭০ জন যাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। ঝালকাঠিতে বার্ণ ইউনিট না থাকায় সদর হাসপাতালে ১৫ জন রেখে বাকি সকল রোগীকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের সময় সিভিল সার্জন ঝালকাঠিতে ছিলেন না, তিনি তার স্ত্রীর কর্মস্থল পিরোজপুরে অবস্থান করছিলেন বলে তখন জানিয়েছিলেন ঝালকাঠি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট জিকে মতিয়র রহমান সিকদার। পিরোজপুরে তার অবস্থানের সময় তিনি ছুটি নেননি বলেও জানিয়েছেন তার কার্যালয়ের একটি সূত্র।
সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালীকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিয়ে যাওয়ার যে আদেশটি ঝালকাঠিতে পাঠানো হয়েছে সেটির স্বারক নম্বর চাইলে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট জিকে মতিয়র রহমান সিকদার।