বরিশাল-ঢাকা নৌপথের বিলাসবহুল এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের কেবিন থেকে শারমিন আক্তার নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরিশালে আসে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লঞ্চের কর্মচারী কেবিন থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আঙুলের ছাপ দিয়ে তরুণীর নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। শারমিন ঢাকা পলিটেকনিকসংলগ্ন তেজকুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম এনায়েত হোসেন ফকির।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সঙ্গে থাকা পুরুষ সঙ্গী পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন- ভ্যানের চাকায় ওড়না জড়িয়ে গৃহবধূর মৃত্যু
লঞ্চের লস্কর মো. সোহাগ বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে দুই তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি কেবিন ১৮শ’ টাকায় ভাড়া নেন। রাত ৯টায় লঞ্চটি ছাড়ার সময়ও তারা একসঙ্গে কেবিনে ছিলেন। ভোর ৫টায় লঞ্চ বরিশাল ঘাটে নোঙর করে। এরপর ডেক ও কেবিনের যাত্রীরা নামতে থাকেন। কিন্তু ৮টার পরও ওই কেবিনের যাত্রীরা নামছিলেন না। পরে লঞ্চের স্টাফরা কেবিনের দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। তালাবদ্ধ থাকায় ভেতর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্টাফদের কাছে থাকা অতিরিক্ত চাবি দিয়ে কেবিনের তালা খুলে তরুণীর লাশ দেখতে পান। তবে তার সঙ্গে থাকা তরুণকে পাওয়া যায়নি।
সহকারী পুলিশ সুপার (নৌ পুলিশ) হাবিবুর রহমান জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা সেটি নিশ্চিত নই। লঞ্চের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে। তবে আশা করছি, দ্রুত আসামিকে গ্রেফতারে সক্ষম হব।
এর আগেও ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে একাধিক হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।