বরগুনার বেতাগী উপজেলার কুমড়াখালীর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ্যাডাক কমিটিকে কেন্দ্র করে বরখাস্তকৃত শিক্ষকের সমার্থনকৃত ব্যাক্তি কিরন সংকর রায়কে সভাপতি করতে না পাড়ায় প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ ও লাঞ্চিত করে রুমে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল।
রোববার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় এঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ ফোন করলে ওই শিক্ষককে তালা ভেঙে অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈনুল ইসলাম জানান, গত পাঁচদিন ধরে বিদ্যালয়ের এ্যাডাক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় প্রধান শিক্ষক ও বরখাস্তকারী শিক্ষকগন।
পূর্ব ঘোষিত নোটিশ অনুসারে, রোববার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ, নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে আসেন তিনি। এরপর সাবেক বরখাস্তকৃত ফণি ভূষণ সিংহ, বিনয় ভূষণ সহ প্রায় ১০/১২ জন লোক এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালা গালি দিতে থাকেন। এর এক পর্যায়ে তারা তাকে লাঞ্চিত করে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
পরে বর্তমানে এ্যাডক কমিটির সভাপতি জয়ন্তী রানি ৯৯৯ এ কল করে পুলিশকে অবহিত করলে বেতাগী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা– ও থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে এ্যাডক কমিটির সভাপতি জয়ন্তি রাণী জানান, আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করার কারনে তারা আমার স্বামীকে, আমাকে ও তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারীকে মারধর করে। পরে এবিষয়ে কোর্টে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করা হয়। উক্ত মামলাটি বেতাগী থানায় এজাহারভুক্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সুহরিত সালেহীন বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে জানানোর পরে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ্ আলম নয়াদিগন্তকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।