পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি নেতা আলহাজ্ব শাহজাহান খানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে পৌর মঞ্চ চত্বরে আয়োজিত দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা মিয়া।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শাহজাহান খানের সহধর্মিণী আনোয়ারা শাহজাহান খান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহজাহান খানের পুত্র ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শিপলু খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে নুরুল হক নুর তার বক্তব্যে বলেন, “শাহজাহান খান ছিলেন একজন জনমানুষের নেতা, যিনি তার কর্মজীবনে জনগণের সেবা করেছেন। গলাচিপায় বিএনপির জন্ম হয়েছে শাহজাহান খানের হাত ধরে। আজকের এই অনুষ্ঠানে তার কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা একত্রিত হয়েছি।'”
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন মিয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলাম খান, দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও পটুয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য আলতাফ হোসেন আকন প্রমুখ।
শাহজাহান খানের পুত্র শিপলু খান বলেন, ‘আমাদের বাবা ছিলেন একজন সাহসী নেতা, যার সংগ্রাম আজও আমাদের পথ দেখাচ্ছে।'” তিনি আমৃত্যু বিএনপির জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগ করেছেন। আমি ও আমার পরিবার গলাচিপা দশমিনার মানুষের জন্য কাজ করে যাবো”
“শাহজাহান খান ১৯৮৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গলাচিপা উপজেলার অন্যতম নেতা ছিলেন এবং তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মন জয় করেছিলেন।”
স্মরণসভায় দুপুর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌর মঞ্চ চত্বরে উপস্থিত হতে থাকে। এসময় বিএনপির জেলা ও উপজেলা কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, যুবদল, মহিলাদল সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ভিপি নুরুল হক নুরের সাথে স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণসভার শেষে উপস্থিত সবাই একত্রিত হয়ে মরহুম শাহজাহান খানের জন্য দোয়া করেন এবং তার অবদানকে চিরকাল স্মরণে রাখার অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য, শাহজাহান খান পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সহ সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৪ নভেম্বর ২০২২ সালে বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে হামলার শিকার হন তিনি, যার ফলে তার কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। সেসময় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল স্থানীয় ও দলীয় মহলে।
আরও পড়ুন –গলাচিপায় সড়ক দূর্ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী তুহিন নিহত