December 7, 2024, 8:00 pm

গলাচিপার উলানিয়ায় ৭’শ কেজি জেলে চাল উদ্ধার, প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা , গলাচিপা ;
গলাচিপার উলানিয়ায় ৭'শ কেজি জেলে চাল উদ্ধার, প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ
গলাচিপার উলানিয়া বাজারের একটি দোকান হতে ৭০০ কেজি জেলে চাল উদ্ধার

পটুয়াখালীর গলাচিপায় রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ ২৮জন জেলেদের ২৫ কেজি করে ৭০০ কেজি চাল বিতরণ না করে বিক্রির উদ্দেশ্যে উলানিয়া বন্দরের এক ব্যবসায়ীর ভুসা মালের গুদাম ঘরে জমা করে রাখে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উলানিয়া বন্দরে স্থানীয় লোকজন চাল আটক করে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট খবর দেয়। এ সময় দোকানে চাল পাওয়া গেলেও ইউপি সদস্য মো. মাসুম বিল্লাহ পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার কর্তৃক চলমান অবরোধে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল রতনদী তালতলী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে ৩নম্বর ওয়ার্ডের জেলেদের মাঝে বিতরণ করছিল। এ সময় ট্যাগ অফিসার সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলামের চোখ ফাঁকি দিয়ে ২৮জন ভুক্তভোগী জেলেদের ৫০ কেজি করে ১৪বস্তা চাল বিতরণ না করে ইউপি সদস্য মো. মাসুম বিল্লাহ উলানিয়া বন্দরে শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের ভুসা মালের গুদাম ঘরে জমা করে রাখে। চাল চুরির ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ভিড় করে। ঘটনার পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী জেলেরা উলানিয়া বন্দরে ইউপি সদস্য মো. মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে একটি মিছিল বের করে এবং তার শাস্তি দাবি করে। এসময় জেলে তোফাজ্জেল ও আনোয়ার হোসেন সহ একাধিক জেলে চাল না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ও চাল চুরির জন্য মেম্বারের বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. মাসুম বিল্লাহকে বার বার ফোন দিলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে ।

রতনদী তালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা জানান , রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় সেনাবাহিনী ও ইউএনও মো. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়েছে। তবে ইউপি সদস্য মো. মাসুম বিল্লাহকে আইনের আওতায় আনা হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।

এ ব্যাপারে ইউএনও মো. মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকৃত জেলে যারা চালা পায়নি তাদের শনাক্ত করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। দ্বায়িত্বে অবহেলার জন্য ইউপি সদস্য, ট্যাগ অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় দেড় মাস আগে এ ইউনিয়নের বন্যাতালী ঘাট সংলগ্ন স্থানে সাড়ে ৪শত কেজি জেলেদের বরাদ্দ চাল গ্রাম পুলিশ মাঈনুদিন বিক্রি করে জসিম উদ্দিন নামের একজনের কাছে। বিষয়টি মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় উঠলেও তার কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা