বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গলাচিপার নিহত শহিদ পাঁচ পরিবারের সদস্যদের বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রাদান ও কবর জিয়ারত করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গলাচিপার নিহত শহিদরা হলেন, মো. রাসেল (ছাত্র), জাহাঙ্গীর খান (সিএনজি ড্রাইভার), আতিক আহম্মেদ (পেশাজীবী), সাগর গাজী (ছাত্র) ও মামুন হাওলাদার (শ্রমজীবী)।
শনিবার সকাল ১০ টায় হাসান মামুন পানপট্টিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদ আতিক আহম্মেদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান ও কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজ চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন।
এর আগে শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদ অন্য চার পরিবারের মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন হাসান মামুন।
পরে ওই দিন সন্ধ্যায় চরকাজল, চরবিশ্বাস ও চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে যে পথ চলা শুরু হয়েছে, দেশ নায়ক তারেক রহমান একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয়তাবাদী দল সাম্য, ন্যায় বিচার ও অহিংস রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আমি ও আমাদের দল সব সময় গণমানুষের পাশে থাকবো। ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের ত্যাগের কথা জাতি সবসময় স্মরণ রাখবে। ওই দিন তিনি উপজেলার ২৮টি পুজা মন্ডপ পরিদর্শন ও সনাতন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধার কথা শুনে তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা সকলেই এদেশের নাগরিক। সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। অতীতের ন্যায় সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে।
আর্থিক সহায়তা প্রদান ও পথ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান সবুজ, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন খানসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।