বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা নির্বাচনকে ঘীরে প্রতিপক্ষ কাপ পিরিচ মার্কার সমার্থকদের হামলায় গুরতরভাবে আহত হয় দোয়াত কলম মার্কার উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনামুল হোসাইন। এনামুলের উপর এমন বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রদিবাদ জানিয়ে শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে রিপোটার্স ক্লাব,বরগুনা সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন মোঃ নিজাম উদ্দিন খান।
এসময়ে তিনি তার লিখিত বক্তাব্যে বলেন, গত ৩০ মে রাতে পাথরঘাটা উপজেলা চয়ারম্যান নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী এনামুল হোসাইন তার নির্বাচনী গনসংযোগ চলাকালী কাপপিরিচ মার্কার সমর্থকরা কাকচিড়া এলাকার চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর সন্ত্রাসী বাহিনী কাকাচিড়া ঢুকতে দিবে না মর্মে বাধার সৃষ্টি করে এবং অতর্কিতভাবে এনামুল হোসাইন ও তার সমর্থকদের উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রামদা, চাপাতি ও লাঠিসোটা সহ হামলা করে। কাপপিরিচ মার্কার সন্ত্রাসীরা এনামুল হোসাইনকে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ও সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাতে তার ডান হাতের কবজির উপর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং এনামুল হোসেন এর সাথে থাকা ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মী মারাত্বকভাবে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। দোয়াত কলাম মার্কার প্রার্থী এনামুল হোসাইন এর মারাত্বকভাবে রক্তক্ষরনের কারনে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। দ্রুত তাকে পাঘরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করলে স্থানীয় সংসদ সদস্যর কন্যা ফারজানা সবুর রুমকির সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম নেতা পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আহম্মেদ সুজন ও বোমা নজরুল এর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী চিকিৎসার কাজে বাধা প্রদান করলে এনামুল হোসাইনকে দেখতে আসা কয়েক শতক সমর্থনকারীদের মধ্য হাসপাতালে ডাক্তারদের উপস্থিতিতে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপান্তরিত হয়। এতে উভয়পক্ষের সমর্থকদের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
বর্তমানে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী এনামুলের মাথায় গুরুতর জখম হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি অবস্থায় আছেন।
এসময়ে তিনি পাথরঘাটা উপজেলাবাসি সকলের কাছে এনামুল হোসাইন এর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। সেইসাথে পাথরঘাটা উপজেলাবাসির কাছে আগামী ০৯ জুন দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দাবি জানান।
উল্লেখ্য যে, গত কিছুদিন আগে স্থানীয় সংসদ কন্যা রুমকীর সন্ত্রাসীরা দোয়াত কলাম মার্কার সমার্থক বাবু সিকদারের দুই হাত, পা, মাথা ও পিঠে কোপিয়ে মারাত্বক জখম করে। এ বিষয়ে বাবুর আত্মীয় জনাব শহিদ আকন পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মিডিয়ার সামনে সরাসরি ফারজানা সবুর রুমকিকে দায়ী করে বক্তব্য প্রদান করছেন এবং আহত অবস্থায় বাবু নিজেই বক্তব্য প্রদান করেছিল যে, রুমকি সন্ত্রাসীদের মোবাইলে লাইনে থেকে হাত পা কাটার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ফারজানা সবুর রুমকির মা স্থানীয় সাংসদ সদস্য এবং তার স্বামী জনাব সাজ্জাদ হোসেন সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হওয়ায় এতটাই প্রভাবশালী যে, তার বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনার কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে কেউ সাহস পায় নাই।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শুরু থেকে ফারজানা সবুর রুমকির সন্ত্রাসী বাহিনী তার হুকুমে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী এনামুল হোসাইন এর সমর্থকদের উপর লাগাতার হুমকি ও মারধর করে আসছে। নির্বাচনী প্রতিক বরাদ্ধের পর দোয়াত কলম মার্কার অফিস ভাংচুর ও কর্মীদের হামলা করে গুরুতর জখমের ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত আইন শৃংঙ্খলা বাহিনি একজন আসামীকেও গ্রেফতার করেনি, যা পাথরঘাটা থানার মামলা নং-১০, ধারা-১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩৭৯/ ৩৫৪/ ৫০৬ পেনাল কোড। অপরদিকে কাপপিরিচ মার্কার রায়হানপুর ইউনিয়নের জনসভায় কাকচিড়ার ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু প্রকাশ্য বলেন যে, কাপ পিরিচ মার্কার বিরুদ্ধে ভোট দিলে নির্বাচনের পরে তাদের পরিস্থিতি ভয়ংকর হবে বলে হুমকি প্রদান করেন। কিন্তু প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। যার ফলশ্রুতিতে আজকে দোয়াত কলম মার্কার পার্থী এনামুল হোসাইন এমন ন্যাক্যারজনক হামলার স্বীকার হন। প্রশাসনের এহেনও নির্লজ্জ ভূমিকায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে চরম বাধা হয়ে দাড়িয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ট নির্বাচনের জন্য জাতির প্রতি যে অঙ্গিকার করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার কন্যা ফারুজানা সবুর রুমকী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সন্ত্রাসীবাহিনীর মাধ্যমে একতরফা নির্বাচন করার জন্য ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন।