বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে গিরে দোয়াত কলম প্রার্থী এনামুল হোসেইন এর ওপর কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর ছেলে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতির রাত ১০ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাঠাখালী এলাকায় ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, দোয়াত কলম প্রার্থী এনামুল হোসেন ও তার কর্মী সমার্থকরা কাকচিড়া ইউনিয়নে তার প্রচার প্রচারণা করতে এলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর ছেলে রাজন ও তার বাহিনী বাধা প্রদান করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায় চেয়ারম্যান পুত্র রাজন ও তার বাহিনী এনামুলের সমার্থকদের উপর চড়াও হয়। পরে দোয়াত কলম প্রার্থী এনামুল হোসেইন উভয়কে শান্ত হতে বললে তার উপর অতর্কিত হামলা করে রাজন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এসময় উভয় পক্ষের ৭-৮ জন আহত হয়। এসময় এনামুল গুরুতর হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রাজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওখানে স্টিল পুলিশ প্রশাসনরা উপস্থিত ছিলো। স্থানীয়রা স্থানীয়রা মারা মারি করছে। এতে প্রায় পাঁচজনের মাথা ফাটছে এবং অনেক আহত হইছে। আমরা কোন মারামারি ও মুভমেন্টেও না। আমি আরও শুনেছি কাপ প্রিচ ও দোয়াত কলম সমার্থকদের সাথে মারামারি হইছে।
দোয়াত কলম প্রার্থী এনামুল হোসেইন ৭১বিডি২৪কে জানান, আমার কর্মী সমার্থকরা কাকচিড়া ইউনিয়নের কাঠাখালী বাজারে প্রচার প্রচারনায় গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর ছেলে রাজন ও তার ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী আমার কর্মী সমার্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় আমি তাদেরকে শান্ত হতে বললে আমাকেও তারা এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। এসময় আমার মাথা ফেটে যায়। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে পরলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে পাথরঘাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভালো নির্বাচনের পরিবেশ তারা এখন ঘোলাটে করছে। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই এবং নির্বাচনের জন্য আমি একটি শান্ত পরিবেশ দাবি করছি।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মামুন বলেন, এবিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা কলবো। আমরা এখনো বাহিরে আছি।