মাদ্রাসা পড়ুয়া ১০ বছরের ছাত্রী সানিয়াকে ধর্ষণ করে হত্যার পর গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরে ভিতরে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মা সাহিদা ও তার পরিবার। একই বাড়ির হাসান বিশ্বাস (২২) এর উপরে এই অভিযোগটি তোলা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখাালীর গলাচিপা উপজেলার রতনদী-তালতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড পাতাবুনিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাসানকে আটক করে থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় মফিজুল বিশ্বাস তার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হাসানসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় ৭ মে বুধবার একটি ৩০২/ ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া গ্রামের মফিজুল বিশ্বাস এর স্ত্রী সাহিদা সোমবার সকালে তার দুই কন্যা নিয়ে ক্ষেতে মরিচ তুলতে যান। সকালে বড় মেয়ে স্কুলে যায়। আর মেঝো মেয়ে সানিয়া খাবারের উদ্দেশ্যে বাড়ী আসে। এসময় বাড়ীতে সানিয়াকে একা পেয়ে হাসান বিশ্বাস প্রথমে ধর্ষণ করে পরে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে সানিয়াকে হত্যা করে। পরে এক ঘন্টা পর সানিয়ার মা সাহিদা বেগম ক্ষেত থেকে বাড়ীতে এসে সানিয়াকে অনেক ডাকাডাকি করে না পেয়ে ঘরের ভিতরে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত হাসানকে বাড়ির পিছন দিয়ে চলে যেতে দেখে সানিয়াকে ডাকতে ডাকতে ঘরে ডুকে সানিয়াকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে জড়ো হয়। তাৎক্ষণিক থানার খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি থানায় নিয়ে আসে।
হাসান ও হাসানের পরিবারের আচরন সন্দেহ জনক হলে বাদীর বড় ভাই জহিরুল ইসলাম গলাচিপা থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। পরবর্তীতে মঙ্গলবার হাসান বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে মাছ ধরতে গেলে সানিয়ার চাচা জহিরুল ইসলাম ট্রলার যোগে হাসানকে ধরে পুলিশকে সোপর্দ করে।
ঘটনার দিনই পুলিশ সানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ফেরদৌস আলম খান জানান, সানিয়ার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। একই বাড়ির হাসান (২২) নামে এক যুবককে আটক করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।