বরগুনা সদর উপজেলার এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সমভোট প্রাপ্ত প্রার্থীগণের মধ্যে পুনঃ ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে অফিসার ও ফোর্সদেরকে কম্পাউন্ডে ব্রিফিং প্রদান করেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক।
এসময় বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, আইনি শাসন ও মানবতায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে বরগুনার সাধারণ মানুষ , উন্নয়ন হয়েছে জেলা পুলিশের বিভিন্ন অবকাঠামোর , এছাড়াও বরগুনা পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক চলমান কোভিড-১৯ সংকটময় মুহূর্তে জীবন বাজি রেখে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তারই প্রতিফলন হিসেবে বরগুনা জেলা পুলিশের মানবিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন বরগুনার সুশীল সমাজের ব্যক্তি ও সচেতন মহল।
বরগুনা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, কোভিড -১৯ সংকটকালে বাংলাদেশ পুলিশের মৌলিক দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক কার্যক্রম সর্বমহলে বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। পুলিশের ভাবমূর্তিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
পুলিশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষে বাংলাদেশ পুলিশকেও উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ হিসেবে তৈরি হতে হবে।
দেশের মানুষকে রক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো বাংলা মায়ের ইজ্জ্বত রক্ষা করতে, তথা দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে। দেশকে রক্ষা করতে আন্দোলন, সংগ্রামসহ প্রতিটি স্থানে যাদের পদচারণা থেকেই যায়। তাঁরা দেশের জনগণের কাছের মানুষ। জনগণের আস্থার একমাত্র স্থল। ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ, আপদ কিংবা বিপদে কখনোই পিছপা হয়নি। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সকল সদস্যরা। অন্য সকল বাহিনী থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকেন এই পুলিশ বাহিনী। কেননা একমাত্র পুলিশ বিভাগ সর্বদা মানুষের কাছে থেকে ভালো-মন্দ উপলব্দি করে থাকেন। যেকোন সমস্যার সমাধানও করে থাকেন। শুরু থেকেই প্রতিটি দুর্যোগ বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যেতে দেখা গেছে এই পুলিশ সদস্যদের। তেমনি করে আজ দেশের এমন করোনা মহামারি থেকে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁরা। মাত্র কয়েক ঘন্টা নিজের পরিবারকে সময় দিয়ে বাকি ঘন্টাগুলো কাটিয়ে দেয় জনগণের দেখভাল করতে। কিঞ্চিৎ পরিমানেও ভালোবাসার ত্রুটি না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে থাকেন সবসময়। দেশের মানুষের স্বাস্থ সুরক্ষায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগকেও দেখা গেছে করোনার লক্ষ্যণ ও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে করণীয় বিষয় সমূহ সাধারণ মানুষকে ধারণা দিতে। এমন সহনশীল ও সাহায্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বরগুনা জেলা পুলিশ বিভাগ। ইতিপুর্বে সাড়াদেশে হয়ে যাওয়া সরকারের ঘোষিত লকডাউনে । অসেচতনভাবে যারা অযথাই ঘোরাঘুরি করেছেন তাঁদেরকে করোনার বিপদজনক দিকগুলো ধারণা দিয়ে ঘরে ফেরানোর কাজ করে যাচ্ছেন বরগুনা পুলিশের সদস্যরা। পুরো বরগুনা ঘুমিয়ে গেলেও ঘুমাননা এই পুলিশের অক্লান্তকর্মা সদস্যরা। যেখানেই ঘটনা, সেখাই মুহূর্তের মধ্যে হাজির হয়ে সমাধানের পথ চলেন তাঁরা।
তিনি আরও বলেন, বরিশাল রেঞ্জের সুযোগ্য ডিআইজির দিক নির্দেশনা মূলক পরামর্শকে ধারণ করে আমাদের পথ চলা। আমরা জনগণের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। তাতে যত বড় দুর্যোগ কিংবা মহামারি আসুকনা কেনো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি এমন করোনা বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থেকে স্বাস্থ সুরক্ষা নিশ্চিৎ করতে আমরা পুলিশ বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট থাকব এবং এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
এ সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অপরাধ), বরগুনা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, বরগুনা, ডিআইও-১, বরগুনা ও অফিসার ইনচার্জগন উপস্থিত ছিলেন।