December 8, 2024, 3:40 am

রাঙ্গাবালীতে নির্মানাধীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের ছাদ ধস

স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী ;
রাঙ্গাবালীতে নির্মানাধীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের ছাদ ধস

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মানাধীন ভবনের ছাদের একটি অংশ ধসে পরেছে। অভিযোগ রয়েছে ভবনটির নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময় থেকে শুরু করে দুর্ঘটনার সময়ও ছিলোনা স্বাস্থ্য বিভাগের কোন প্রকৌশলী এবং কোনো তদারকি ছাড়াই চলছিল ভবনের নির্মাণ কাজ।

১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সন্ধ্যার পর বিকট শব্দে হঠাৎ ভবনের ছাদের সামনের দিকের অংশ ধসে পরে। শব্দে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন।

স্থানীয়রা বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবনটির কাজে এরই মধ্যে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র সামনে চলে এসেছে। কার্যাদেশে পাথর দিয়ে ঢালাই করা ছাদের সেন্টারিংয়ে লোহার পাইপ ও স্টিল পাতের ব্যবহার করার কথা উল্লেখ আছে; কিন্তু লোহার পাইপের বদলে বাঁশ আর স্টিলের পাতের বদলে কাঠের ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ছাদ ঢালাইয়ের কাজে যে রড ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়েও আছে অভিযোগ। আর নিম্নমানের কাজের কারণেই ঘটেছে এ দুর্ঘটনা।

আরও পড়ুন- জলদস্যুদের কবলে সাব্বির, স্বজনদের আহাজারি

অভিযোগ রয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকৌশলীর তদারকি ছাড়াই অনেক দিন ধরে ভবনটিতে নির্মাণ চলছে। তদারকির জন্য একজন প্রকৌশলী নিয়োগ করা থাকলেও বেশির ভাগই সময় অনুপস্থিত থাকেন তিনি। ছাদ ধসের ঘটনার সময়ও উপস্থিত ছিলেন না স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো প্রকৌশলী।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মো. রাহাতের দাবি, ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। শ্রমিকদের গাফিলতির কারণে সেন্টারিংয়ে ত্রুটির কারণে ঘটেছে এ দুর্ঘটনা।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ‘দুর্বল সেন্টারিংয়ের কারণে সামনের বারান্দার অংশটির ছাদ ধসে পড়েছে। তাড়াহুড়ো করে কাজটি করেছিল মিস্ত্রীরা। তাই ঢালাই দেওয়ার পরপরই পড়ে গেছে। আমরা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর মূল ঘটনাটি সম্পর্কে জানা যাবে। পরবর্তীতে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন – পটুয়াখালীতে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

২০১২ সালে রাঙ্গাবালী উপজেলা গঠিত হলেও দীর্ঘ দিনেও এখানে নির্মাণ হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চরাঞ্চলের দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল গত ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কাজটি শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর নির্মাণ কাজ পায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের মালিকানাধীন প্রাইম কনস্ট্রাকশন। ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের ভবনটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা