ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকা অভয়াশ্রমে শুরু হয়েছে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা।শুক্রবার (১ মার্চ) এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় , চলবে টানা দুই মাস।
ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত তেতুঁলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইলিশের অভয়াশ্রম। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস এই অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গলাচিপা উপজেলার রতনদি তালতলী ইউনিয়নে বন্যাতলী মাছঘাটে শুক্রবার ১ মার্চ বিকেল ৪ টায় “নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় তেঁতুলিয়া নদীর ইলিশ অভয়াশ্রম রক্ষায় সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.জহিরুন্নবীর সঞ্চালনায় রতনদী তালতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃমোস্তফা খাঁনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন,গলাচিপা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব হাসান শিবলী, গলাচিপা থানা পুলিশ প্রতিনিধি এস আই নজরুল, বেইজ বিল্ট ডিজিটাল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক রেদওয়ান দালাল, এশিয়ান টেলিভিশনের গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি মু. ইমন, জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার গলাচিপা প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম, সালেহা খাতুন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, গলাচিপা ব্লাড ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ও সিনিয়র শিক্ষক (বেইজ বিল্ট ডিজিটাল একাডেমী) লুৎফর রহমান আওলাদসহ সাধারণ জনগন ও নিবন্ধিত জেলেরা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.জহিরুন্নবী বলেন, ‘অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে মা ইলিশ নদীতে ডিম ছেড়েছে। সেসব ডিম ফুটে যেসব বাচ্চা হয়েছে, তা এখন জাটকা পর্যায়ে। মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাস যদি আমরা এসব জাটকা ধরা বন্ধ রাখি, তাহলে তা পূর্ণ ইলিশে রূপ নেবে। তাই সরকার এই দুই মাস তেঁতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এতে ইলিশের উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি অন্যান্য মাছও বাড়বে।মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, এ আইন অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।তিনি আরো বলেন অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকার সময়ে মাছ ধরা বন্ধে প্রচার চালাচ্ছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ। মৎস্যজীবীদের নিয়ে সভা করার পাশাপাশি ব্যানার টানানো হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে।
মৎস্য বিভাগ বলছে, গত বছরের ১ নভেম্বর শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাসের জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জাটকা শিকার থেকে মৎস্যশিকারিদের বিরত রাখতে প্রতিমাসে উপজেলার ৯ হাজার জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার।