বরিশাল:
বরিশাল জেলার ৬ আসনে ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যার মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে এখন বৈধ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন ৪৫ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিলকৃত হলফনামার তথ্যানুযায়ী, এই ৪৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ব্যবসায়ী রয়েছেন ২৩ জন। আবার এই ২৩ জনের মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তার পেশা হিসেবে মৎস্য চাষ ও রাখি-মালামালের ব্যবসার কথা উল্লেখ করেছেন। এই ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৫ জন রয়েছেন যারা ব্যবসার পাশাপাশি বেসরকারি চাকরি, প্রতিষ্ঠানের মালিকও রয়েছেন।
এছাড়া ২৩ জন ব্যবসায়ী বাদে ৫ জন রাজনীতিবিদ, ৪ জন আইনজীবী, ২ জন বেসরকারি চাকরিজীবী, ২ জন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, ২ জন অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, ১ জন সাংবাদিক ও লেখক, ১ জন পেশাদার সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার, ১ জন কবি ও লেখক, ১ জন পরামর্শক, ১ জন কৃষি ও মৎস্য চাষ ও ১ জন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেদের পেশার কথা হলফনামায় জানান দিয়েছেন।
এসএসসি ও সমমান পাশ করেছে এমন রয়েছেন ৪ জন, এইচএসসি পাশ করেছেন ৪ জন, বাকিদের মধ্যে অনার্স বা সমমান থেকে মাস্টার্স বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে ২৮ জনের। আর ১ জন রয়েছেন পিএইচডি ধারী।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে পেশা হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ব্যবসায়ী, জাতীয় পার্টির ছেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী আইনজীবী ও ব্যবসায়ী এবং এনপিপির মো. তুহিন বেসরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী বলে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে পেশা হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুস আইনজীবী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রাশেদ খান মেনন রাজনীতি ও সংসদ সদস্য এবং একই দলের অপর প্রার্থী মো. জহুরুল ইসলাম ঠিকাদারি ব্যবসা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস পেশাদার সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও একটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার এবং জাতীয় পার্টির অপর প্রার্থী রজিত কুমার বাড়ৈ পরামর্শক, জাকের পার্টির স্বপন মৃধা ব্যবসায়ী, তৃণমূল বিএনপির মো. শাহজাহান সিরাজ রাজনীতি, এনপিপির সাহেব আলী আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে ফাইয়াজুল হক ব্যবসায়ী ও একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী, মো. মনিরুল ইসলাম ব্যবসায়ী ও একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে পেশা হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরদার মো. খালেদ হোসেন ব্যবসায়ী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রাশেদ খান মেনন রাজনীতি ও সংসদ সদস্য এবং একই দলের অপর প্রার্থী টিপু সুলতান আইনজীবী, জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আজমুল হাসান জিহাদ কবি ও লেখক এবং আইনজীবী, তৃণমূল বিএনপির শাহানাজ হোসেন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও গৃহিণী, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু আবাসিক হোটেল ব্যবসা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল হক ব্যবসায়ী ও মো. আতিকুর রহমান ব্যবসায়ী বলে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন।
বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে পেশা হিসেবে জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের হৃদয় ইসলাম চুন্নু ব্যবসা মালিকানা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ বিহঙ্গ পরিবহনের চেয়ারম্যান হিসেবে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন।
বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর) আসনে পেশা হিসেবে আ. লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তিনটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও একটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার, জাকের পার্টির মো. আবুল হোসাইন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, এনপিপির আব্দুল হান্নান সিকদার ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিক ও লেখক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহাতাব হোসেন ব্যবসা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মৎস্য চাষ ও রাখি-মালামালের ব্যবসার কথা হফলনামায় উল্লেখ করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাহউদ্দিন রিপনের পেশা জানা যায়নি।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে পেশা হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাফিজ মল্লিক রাজনীতি, সমাজসেবা ও ব্যবসা, জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্মা ব্যবসা, তৃণমূল বিএনপির টি.এম. জহিরুল হক তুহিন কৃষি ও মৎস্য চাষ, এনপিপির মো. মোশারফ হোসেন বেসরকারি চাকরিজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও কৃষিকাজ, জাসদের মোহম্মদ মোহসীন ঠিকাদারি ব্যবসা, জাকের পার্টির মো. হুমায়ুন কবির সিকদার ব্যবসা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মাইনুল ইসলাম আইনজীবী, স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজিব আহম্মদ তালুকদার ব্যবসা-শিল্পপতি, মো. শাহবাজ মিঞা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, মো. কামরুল ইসলাম খান বেসরকারি চাকরি, খান আলতাফ হোসেন আইনজীবী বলে হফলনামায় উল্লেখ করেছেন।