আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা- ১(বরগুনা সদর, তালতলী ও আমতলী) আসন থেকে বেশ কিছু নেতাদের নাম ইতোমধ্যেই গণমানুষের আলোচনায় এসেছে। এদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভার “মেয়র ” অ্যাড কামরুল আহসান মহারাজ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা- ১
(বরগুনা সদর,আমতলী ও তালতলী) আসন থেকে আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতা দলীয় মনোনয়ন লাভের জন্য বিভিন্ন লবিং ও তদবির চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে দৌঁড়ঝাপে রয়েছে কিছু নেতার নাম।
আরও পড়ুন- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এরা হলেন- বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (এমপি), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র অ্যাড কামরুল আহসান মহারাজ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মোতালেব মৃধা, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম সরোয়ার ফোরকান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মশিউর রহমান শিহাব।
বরগুনা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের তৃনমুল থেকে সকল অংশের সমার্থন ইতিমধ্যে লাভ করেছেন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বরগুনা পৌরসভার ‘মেয়র’ অ্যাড.কামরুল আহসান মহারাজ। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তিন দশকের অধিক সময় ধরে তিনি আওয়ামী লীগের সাথে রয়েছেন। দলের প্রতি তিনি ছিলেন নিবেদিত সৈনিক।
বরগুনার জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীন এক রাজনিতিবীদ বলেন, বরগুনা -১ আসনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেখানে যারা কাজ করতে পারবেন, যারা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য তেমন ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেওয়া উচিৎ।
এবার নতুন মুখ এবং দুঃসময়ের কর্মীদের মূল্যায়ন করতে চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবিষয়ে দলীয় সভানেত্রী বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ খবর নিচ্ছেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিতদেরই এবার মূল্যায়ন করা হবে।
বরগুনা জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাড.মাইনুল ইসলাম রাব্বি এর কাছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা -(১) আসনের প্রার্থী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পরিক্ষীত নেতাদের মূল্যায়ন করবে আওয়ামী লীগ। যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে তৃনমূলকে সুসংঘটিত করছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে যে ভূমিকা রাখতে পারবেন সে সব নেতাকে এবার মুল্যায়ন করা হবে।
বরগুনা জেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের দুঃসময়ের যারা ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা রয়েছেন এবার তাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সংস্থা, নিজস্ব টিম, দলের সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিশেষ করে ১৯৭৫-এর পর যাঁরা দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছিলেন এমন নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং যারা যোগ্য তাদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে তিনি দাবি করেন।
বরগুনা জেলা যুবলীগের সিনি.সহ সভাপতি ও সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবু এর কাছে বরগুনা -১ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়নের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন ,যারা ছিলেন দলের দুঃসময়ের কর্মী, জনপ্রিয়, নিষ্ঠাবান এবং যাদের ক্লিন ইমেজ রয়েছে তাঁদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন- আ.লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ হাসিনা
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যাঁরা দলের হাল ধরে ছিলেন, নির্যাতন, কষ্ট সহ্য করেছেন, যাঁরা বুকে পাথর বেঁধে দল করেছেন, সেসব নেতাকে দলীয় মনোনয়নে প্রাধান্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি চাই যোগ্যরাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাক।
বরগুনা -১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী -বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন -সাধারন সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা ও বরগুনা পৌরসভার বর্তমান “মেয়র” অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, বিগত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দলের যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে আমি সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি এবং অনেক জেল ঝুলুমের স্বীকার হয়েছি। দলের ও নৌকা প্রতীকের সম্মান অক্ষুন্ন রেখেছি। নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে সব সময় পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। বরগুনার উন্নয়ন এবং মানুষের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পরিবর্তন দরকার। দল মনোনয়ন দিলে বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।