March 16, 2025, 2:31 am
শিরোনাম :
গলাচিপায় ইউএনও এবং খাদ্য কর্মকর্তা অপসারণের দাবিতে পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল গলাচিপায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল গলাচিপায় গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল গলাচিপার আমখোলার ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার ঢাকাস্থ চালিতাবুনিয়া সমিতি উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত খুটির জোর কোথায়? ফিল্মি স্টাইলে স্কুল শিক্ষিকা থেকে মেয়র, কে এই জাকিয়া চিকিৎসকের অবহেলায় গলাচিপায় নবজাতকের মৃত্যু গলাচিপায় ৭ম জাতীয় ভোটার দিবস পালিত দশমিনায় পৌর যুবদলের লিফলেট বিতরণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য ছাদেকুলের বিদায়ে শিক্ষার্থীদের উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ

বরিশাল অফিস :
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য ছাদেকুলের বিদায়ে শিক্ষার্থীদের উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ



বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের বিদায়ে ক্যাম্পাসে উল্লাস প্রকাশ ও মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ তুলে সোমবার (৬ নভেম্বর) বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে উপাচার্যবিরোধী নানা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। যোগদানের সময় আশাবাদের কথা শোনালেও গত চার বছর মেয়াদে কোনো উন্নয়ন কার্যক্রম করতে পারেননি ভিসি ছাদেকুল। বরং এ সময়ে সেশনজট, ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সমস্যাসহ নানা সংকট বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই বিদায়বেলায় শিক্ষার্থীদের থেকে পেয়েছেন তিরস্কার আর সমালোচনা। শিক্ষার্থীদের দাবি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে এক যুগ পিছিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিন।

শিক্ষার্থীরা জানান, স্বেচ্ছাচারী ভিসি ছাদেকুল আরেফিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আনন্দিত হয়ে আজকে  মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়। এর আগে রোববার মধ্যরাতে চার বছর মেয়াদ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাদেকুল।

মিষ্টি বিতরণকালে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘বিদায়ী ভিসির কাছে কেউ কোন দাবি নিয়ে গেলে তিনি সেগুলোর সমাধানে কোন উদ্যোগ নিতেন না। বরং দাবির বিষয়ে তার কাছে যাওয়ার অপরাধে শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করানো হতো। আমি নিজে এ ধরনের ঘটনার ভুক্তভোগী।’

উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আসলে তার মেরুদণ্ডই ছিলো না। ভিসি হিসেবে তিনি মোটেই যোগ্য নন। শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি ‘গোপালভাঁড়’, ‘ভাঁড়’, ‘সেমিনার বাবা’ হিসেবে তিনি পরিচিত হয়েছেন। স্থানীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করেছেন। অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেরাচারী আচরণের কারণে বিদায়বেলায় কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফুল নিতে পারেননি তিনি।’

ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইরাজ রব্বানী বলেন, ‘নানা সংকটে জর্জরিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এই উপাচার্যের আমলে কোন উন্নতি হয়নি। বরং অবনতি হয়েছে অনেক বেশি।  গত চার বছরে বিদায়ী ভিসি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কাঙ্ক্ষিত কোন উন্নয়ন করতে পারেননি। তার প্রস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আজকের প্রোগ্রাম করেছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা