আমতলীর পায়রা নদীতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক জেলের বরশিতে ধরা পড়েছে ২২ কেজি ওজনের পাঙ্গাস। এবং আরেক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৪ কেজি ওজনের ১টি কোড়াল মাছ পাঙ্গাস মাছটি বিক্রি হয়েছে ৩২ হাজার এবং কোড়াল মাছটি বিক্রি হয়েছে ১৯ হাজার টাকায় বছরের সেরা পাঙ্গাস এবং কোড়াল এটি বলছেন আড়ৎদার মো. জব্বার চৌকিদার।
জানা গেছে, আরপাঙ্গাশিয়া গ্রামের বালিয়াতলী গ্রামের লাল মিয়া নামে এক জেলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পায়রা নদীতে বরশি ফেলে মাছের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত ১টার সময় বরশিতে মাছ আটকে গেলে তুলতে গিয়ে দেখেন বিশাল আকারের এক পাঙ্গাস। মাছটি তুলে বিক্রির জন্য শুক্রবার সকালে আমতলী মাছ বাজারের মায়ের দোয়া মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। সেখানে এনে মিটারে ওজন দিয়ে দেখেন মাছটির ওজন ২২ কেজি। মাছটি এক নজর দেখার জন্য অনেকেই ভিড় জমান। আড়ৎদার মাছটি ভাগা দিয়ে ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আড়ৎদার জব্বার চৌকিদার জানান, এবছর নদীতে মাছের আকাল এর মধ্যে বরশিতে এত বড় পাঙ্গাস আর দেখি নাই।
অন্যদিকে পায়রা নদীর গোল বুনিয়া এলাকায় আরেক জেলে হোসেন ঘরামীর জালে ১৪ কেজি ওজনের ১টি কোড়াল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি শুক্রবার সকালে আমতলী মাছ বাজারের জাকারিয়া মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। সেখানে এনে মাছটি ওজন দিয়ে দেখেন মাছটির ওজন ১৪ কেজি। আড়ৎদার মাছটি বিক্রি করেন ১৮ হাজার টাকায়। পাইকারী মাছের আড়ৎদার মো. জাকারিয়া জানান, এবছর এত বড় সাইজের কোড়াল আর বাজারে আসেনি।
জানা গেছে ২২ দিনের অবরোধ শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর থেকে জেলেরা মাছ ধরার জন্য সাগর এবং নদীতে নেমে প্রচুর পরিমান বিভিন্ন প্রজাতির পোয়া, কোড়াল, ইলিশ,তপসী, ফ্যাসা তপসীসহ নানা ধরনের মাছ পেয়েছে। শুক্রবার সকালে আমতলী নতুন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের মাছে আড়তের সব জায়গা ভরে গেছে। অনেক আড়তে মাছ রাখার জায়গা ছিল না। বাজারে মাছ আগমনের খবর শুনে ক্রেতাদেরও উপচেয়ে পড়া ভীর লক্ষ্য করা গেছে। দামও ছিল খুব কম। সাইজ ভেদে প্রতি কেজি পোয়া ১৩০-৪০০শ’ টাকা, ইলিশ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস (ছোট) ৩০০-৪০০টাকা। শুক্রবার সকালে বাজারে মাছ কিনতে আসা জালাল নামে এক রিকসা চালক জানান, বছরের মধ্যে আইজ ১২০ টাহায় ১ কেজি পোয়া মাছ কিনছি। মাছ নিয়া গুরা গারা লইয়া মন ভইর্যা খামু। পায়রা নদীর জেলে রহিম জানান, জালে ব্যামালা মাছ পাইছি। অনেক দিন পর আল্লায় দিছে।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সর্দার জানান, জেলেরা বিভিন্ন সময় অবরোধ সঠিক ভাবে পালন করায় নদী সাগরে অনেক বড় সাইজের মাছ এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এটা জেলেদের জন্য অনেক সুখবর।