যেখানে অগ্নিসন্ত্রাস হবে সেখানেই বিএনপি জামায়াতের দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে ধরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কারো ওপর নির্ভর না করে জনগণকেও অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব নির্দেশনা দেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রত্যেক এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক এলাকায়, শুধু এই ঢাকার শহর বলে না, যেখানে যেখানে তারা এই ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস করবে সেই এলাকায় বিএনপি, জামায়াতের দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদেরকে ধরিয়ে দিতে হবে। আর মানুষের জানমালের যাতে ক্ষতি করতে না পারে, সুরক্ষা দিতে হবে। এটাই আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।
তারেক রহমানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারেক জিয়া ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সেখানে মুচলেকা দেয় যে আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না, এই মুচলেকা দিয়ে চলে যায়। শোনা যায়, সেখানে গিয়ে এখন জুয়া খেলে কোটি কোটি পাউন্ড কামাই করে। এই জুয়া খেলায় নাকি তার সোর্স অব ইনকাম। আর ওখান থেকেই বসে নির্দেশ দেয়, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন কর, এগুলিই তাদের কথা। একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিএনপি তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে দিয়েছে। কেন বিএনপিতে আর কোনো নেতা ছিল না? অন্তত যারা লেখাপড়ায় ভালো সেটা করতে পারে নাই, ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সে কারণে তারা নির্বাচন চায় না, নির্বাচন বন্ধ করে দিয়ে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি করতে চায়। আর কোনো কোনো মহল থেকে তারা যথেষ্ট এটায় উসকানিও পায়। আজকে বাসে আগুন দিয়েছিল, সেই বাসে হেলপার ঘুমিয়ে ছিল, সেই ঘুমন্ত মানুষটাকে পুড়িয়ে মেরেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সিট পাবে না বলে (নির্বাচন) করবে কি না সন্দেহ। আর নির্বাচনে এলেও আসবে ওই মনোনয়ন বাণিজ্য করতে। সেই ক্ষেত্রে আমি বসে থাকি না, প্রত্যেক ছয় মাস পর পরই আমার একটা হিসাব থাকে। কেউ যদি মনে করো ও এখন তো ওরা নাই তাহলে তো আমরা জিতেই যাব। আরেকটা কথা একটা সিট না পেলে কি হবে, বাকী সিট তো পাবে, সরকার গঠন করবে। এই চিন্তা যেন কারো মাথায় না থাকে, কারণ এই চিন্তাই কিন্তু সর্বনাশ ডেকে আনবে। কাজেই যে সিদ্ধান্ত দেব সেই সিদ্ধান্ত মানতে হবে।