December 7, 2024, 8:07 pm

বরগুনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি;

বরগুনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলামের বিরুদ্ধে বরিশালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।

বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বন্দরগাছিয়া, খাকবুনিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হারুনের মেয়ে মোসাম্মৎ শিরিন এই মামলাটি দায়ের করেন।

গত বুধবার (৪ অক্টোবর) মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

জানা যায়, বরিশালের আগৈলঝাড়া কোদালধোয়া গ্রামের সুবাস বিশ্বাসের ছেলে ডাক্তার সুমন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বরগুনা আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার থাকা কালে প্রতি শুক্রবার তালতলী উপজেলার একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিকে রোগী দেখতেন এই চিকিৎসক।

নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক ল্যাব নামে ওই প্রতিষ্ঠানে রিসিপশনে কর্মরত মোসাম্মৎ শিরিন নামে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর প্রেম তারপর বিয়ে। শেষ পর্যন্ত গর্ভপাত করে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। র্্যাব ৮ বরাবর এক অভিযোগে এই নারী বলেন চিকিৎসকের ছদ্মবেশে এই প্রতারক ধর্মান্তরিত হয়ে মোসলমান হয়েছেন বলে। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তাকে পটুয়াখালী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। যেখানে নিজের নাম পরিচয় সুমন খন্দকার, পিতা মোঃ সেলিম মিয়া এবং ঠিকানা বরিশালের আগলঝোড়া দেখান এই চিকিৎসক।
৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে এই বিয়ের হলপ নামায় আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে। এরপর বেশ কিছুদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান এই দম্পতি। এর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা এই নারী।কিন্তু চতুর এই চিকিৎসক তাকে গর্ভপাত বাধ্য করেন।
অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে এর কয়দিন পরই চিকিৎসক সুমনের আসল চেহারা সামনে আসে।নিজের এক উকিল বন্ধুকে দিয়ে নিজেকে মুসলিম দেখিয়ে ভুয়া নোটারী পাবলিক করে এই বিয়ে করেন ও নারীকে জানান সুমন।

তবে দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করলেন ওই নারী মোসাম্মৎ শিরিন। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, ডাক্তার সুমন বিশ্বাসের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছে তারা। তাদের এই ছবি ও ভিডিও দিয়ে কালবেলায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী সুমন বিশ্বাসের সম্মানহানি হয়েছে।

দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম বলেন, মোসাম্মৎ শিরিন ডাক্তার সুমনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী র‍্যাব ৮ বরাবর একটি অভিযোগ করেন. সেই অভিযোগপত্রে যা উল্লেখ করা আছে তাই দিয়ে নিউজ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের কয়েকদিন পরেই ওই নারী সুমন বিশ্বাসের পরিবারের লোকজনদের সাক্ষী দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা