পটুয়াখালীর গলাচিপায় র্যাবের ভুয়া ক্যাপ্টেন পরিচয় দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে শহীদুল ইসলাম (৪০) নামক এক প্রতারক’কে গ্রেফতার করে।
গত ১৫ জুন রাতে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব তুহিন রেজা’র নেতৃত্বে আসামীকে গলাচিপা থানাধীন বড় গাবুয়া তার নিজ বসতবাড়ি হতে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকালে তার নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১ টি মোবাইল ও ২ টি বিকাশ নম্বর সম্বলিত সীমকার্ড জব্দ করা হয়।
র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব তুহিন রেজা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ১৮/০৫/২০২৩ইং তারিখে শহীদুল ইসলাম(৪০) নামক ব্যাক্তি নিজেকে র্যাবের ক্যাপ্টেন মোঃ মনিরুজ্জামান পরিচয়ে বরগুনা জেলার আমতলী থানার বাসিন্দা মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার(৩৮)’কে মোবাইলে কল দিয়ে নানা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং টাকা দাবি করে। সে বলে যে, তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির নিকটে এবং সে মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার(৩৮)’কে যেকোনো মূহূর্তে মিথ্যা মামলায় ফাসাতে পারে বলে জানায় ও তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার নিকট টাকা দাবি করে। সে টাকা দিতে রাজি না হলে আসামী পুনরায় তাকে কল দিয়ে টাকা দাবি করে। এতে সে প্রাণভয়ে নিরুপায় হয়ে আসামীর দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে আসামী তাকে পুনরায় একাধিকবার কল করে বিভিন্ন ভয়-ভীতির মাধ্যমে আরোও টাকা দাবি করে। এরপর এক ভুক্তভোগী প্রতারনার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুনরায় আর টাকা প্রদান না করে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায় ১৫ জুন গলাচিপা থানাধীন বড় গাবুয়া হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী শহীদুল ইসলাম ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি র্যাবের কাছে স্বীকার করে। সে আরও জানায়, সে ভুয়া ও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে নিরীহ মানুষদের ঠকিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে।