আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এনডিসি, পিএসসি অবসরপ্রাপ্ত, রাষ্ট্রপতির সাবেক সামরিক সচিব ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন গলাচিপা-দশমিনার গণমানুষের নির্ভরতার প্রতীক। ইতিমধ্যে তিনি গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার সকল ইউনিয়নে জোড়ালোভাবে গণসংযোগ করেছেন। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে তিনি ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি একজন সৎ, ন্যায়পরায়ণ, দক্ষ, অভিজ্ঞ, বিচক্ষণ ও যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীর কাছে তিনি নিজেকে কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তঁর সততা ও সুশাসননীতি সর্বমহলে প্রশংসনীয়।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের সংসদীয় এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের ঊর্বর ভূমি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এই জনপদে বিতর্কিতরা ক্ষমতায় এসে দলে গ্রæপিং ও জামাত-বিএনপির কিছু লোককে স্থান এবং নব্য আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে প্রাধান্য দিয়ে ত্যাগীদেরকে পদবঞ্চিত করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কলুষিত করেছেন। দল থেকে ছিটকেপড়া ত্যাগী নেতাদেরকে দলে যোগ্য স্থান দিয়ে দলকে শক্তিশালী করা একান্ত জরুরি। এছাড়া দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে না পারায় এর প্রভাব পড়ছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মাঝে। ফলে দলীয় সাংগঠনিক ভিত্তি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। আর এর প্রভাব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়বে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ অনেক নেতা। তাই আওয়ামী লীগের দুর্গ বা ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত সংসদীয় এ আসনটি ধরে রাখতে হলে এই জনপদে এখন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেনের মত একজন গুণী লোকের প্রয়োজন। তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া জরুরি বলে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন। তারা মনেপ্রাণে আরও বিশ্বাস করেন যে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেলে নৌকার পালে প্রবল হাওয়া লেগে তরী বিজয়বেশে তীরে ভিড়বে সুনিশ্চিত। এর ফলে দক্ষিণের উপকূলীয় অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন এবং ভাটির দেশের এ অঞ্চলের অভূতপূর্ব সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল ইসলাম ধলা বলেন, ‘বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেনের মত একজন সৎ, যোগ্য ও কর্মীবান্ধব নেতা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গলাচিপা-দশমিনা আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এটা আমাদের জন্য একটা গর্বের বিষয়। তাঁর মত হেভী ওয়েট প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিলে বিজয় আসবে খুব সহজেই। কেননা তাঁর সততা, দক্ষতা ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করার কথা ইতিমধ্যে সর্বমহলে প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া তাঁর সুশাসননীতি তাঁকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। আজ দলের স্বার্থে এই জনপদে আবুল হোসেনের মত একজন নির্ভরযোগ্য অভিভাবকের একান্ত প্রয়োজন। তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন ইনশাল্লাহ। এর ফলে দক্ষিণের এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।’
এ বিষয়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. দুলাল চৌধুরী বলেন, ‘গলাচিপ-দশমিনার অবহেলিত মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতেই যেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন এই জনপদে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। তিনি সততা ও দক্ষতার সঙ্গে সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন পদে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের জন্য অতন্ত্র প্রহরির ন্যায় নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে একাগ্রচিত্তে কাজ করেছেন। সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে নিজ এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন ইউনিয়নের গণসংযোগে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গলাচিপা-দশমিনা আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল হোসেন ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মাঝে একজন কর্মীবান্ধব নেতা, আস্থা ও নির্ভরতার মূর্তপ্রতীক হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। যোগ্যতার মাপকাঠীতে আবুল হোসেন দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে অনেকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।’