পটুয়াখালীর গলাচিপায় বেআইনী জনতাবদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে গুরুতর জখমের মামলায় প্রধান আসামী মোঃ মহিন উদ্দীন(২৫)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী)।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ১৫ঃ৩৫ ঘটিকায় গলাচিপা থানার আমখোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আাসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন- গলাচিপায় ১’শ পিচ ইয়াবাসহ একজন আটক
র্যাব-৮, সিপিসি-১ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাজায়, গত ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখ বিকাল ১৭:০০ ঘটিকায় সময় মোঃ নান্নু প্যাদা(৩২), পিতা-মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, সাং-উত্তর আমখোলা, ০২ নং ওয়ার্ড, থানা- গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী এর সাথে ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ মহিন উদ্দিন(২৫) এর পরিবারের সাথে বিবাদের সৃষ্টি হয়। বিবাদের এক পর্যায়ে মহিন উদ্দিন(২৫) ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সহ বেআইনী জনদাবদ্ধে বগি, লাটি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মোঃ নান্নু প্যাদার উপর আক্রমণ করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। একপর্যায়ে, তার চিৎকার শুনে তার মা মোসাঃ আকলিমা বেগম ও বাবা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন প্যাদা এগিয়ে আসলে তারা তাদের উপরও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। মোঃ মহিন উদ্দীন (২৫) তার হাতে থাকা ধারালো বগি দিয়ে নান্নু প্যাদার মা মোসাঃ আকলিমা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয় এবং তা হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গিয়ে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। মোঃ মহিন উদ্দিন(২৫) পুনরায় মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের উপর একইভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দিলে তা প্রতিহত করতে গিয়ে সেও গুরুতর জখম হয়। একপর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের হুমকী দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা না করে আসামীরা মোঃ নান্নু প্যাদা ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাসানোর ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে ভিকটিম মোঃ নান্নু প্যাদা(৩২) মোঃ মহিন উদ্দিন(২৫) কে ০১ নং আসামী করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা করে। যার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৭/০২/২০২৩ইং, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোড রুজু করা হয়। র্যাব-৮, সিপিসি-১ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে কার্যক্রম আরম্ভ করে এবং আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মহিন উদ্দিন(২৫) ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি র্যাবের কাছে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখারী জেলার গলাচিপা থানায় হাস্তান্তর করা হয়।