December 8, 2024, 2:57 am

গলাচিপায় কে আলী কলেজের তিন প্রভাষক এর বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তরে দুর্নীতির অভিযোগ !

স্টাফ রিপোর্টার ; পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর গলাচিপার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে ক্লোজার বাজার অবস্থিত হাজী কেরামত আলী কলেজের কতিপয় প্রভাষক নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার পরেও নিয়োগ হয়। প্রভাব ও অবৈধ লেনদেনের যোগসাজশে সর্বশেষ সনদে প্রাপ্তবিভাগ/শ্রেনী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঘশামাজা করে এমপিও ভূক্ত হয়েছেন বলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরে মহাপরিচালকের বরাবরে গত ৯’ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখে  মো. সুমন নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ সূ্ত্রে জানা যায়। যার – মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক অভিযোগ প্রাপ্তি স্বারক নং ৩১৯ / ৯’ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং। মো. এনামুল হক এর( ইনডেক্স নং- ৩০৭৯৬৯৪)

গত ১২’ই মার্চ ২০০৫ইং তারিখে অত্র কলেজে যোগদান করেন এবং মাঝ পথে পদত্যাগ করেন। পুনোরায় নিয়োগ না নিয়ে গত ১’ মে ২০১০ ইং তারিখে এমপিও ভূক্তহন। তার সর্বশেষ বাংলা শিক্ষা সনদে এম,এ তৃতীয় শ্রেনী। অথচ গত ৮’জানুয়ারী ২০০৫ ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে স্পষ্ট লেখা ছিলো, সর্বশেষ সনদে অর্থাৎ এম এ স্তরে দ্বিতীয় শ্রেনী থাকতে হবে।  কিভাবে তিনি নিয়োগকালীন সময়ে কাম্য যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেয় এমপিও ভূক্ত হয়ে  বর্তমানে তিনি প্রভাষক পদে বহালতবিয়তে কর্মরত থেকে বেতনভাতাদী ভোগ করছেন। একই ভাবে মো. জাহিদুল ইসলাম ( ইনডেক্স নং ৩৭৮৭৫৬) প্রভাষক কম্পিউটার পদে ১২’মার্চ ২০০৫ ইং তারিখে নিয়োগকালীন যোগ্যতা ছাড়াই যোগদান করে অবৈধ ভাবে গত ১’লা নভেম্বর ২০১২ ইং তারিখে এমপিও ভূক্তহোন।

প্রভাষক কম্পিউটার নিয়োগে গত ২৮’অক্টোবর ১৯৯৯ ইং তারিখে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সাবের হোসেন স্বাক্ষরিত সর্বশেষ পরিপত্র মোতাবেক পদার্থ বিদ্যা, রসায়ন, গণিত,  অর্থনিতি, পরিসংখ্যান ও ব্যবস্থাপনা বিষয় ছাড়া কম্পিউটার বিষয়ে প্রভাষক হতে পারবেনা।  অথচ মো. জাহিদুল ইসলামের সর্বশেষ সনদ হলো, রাষ্ট্র বিজ্ঞান এম এ দ্বিতীয় শ্রেণী। যেহেতু কম্পিউটার বিষয়ে তার প্রভাষক হওয়ার পরিপত্রের নির্দশনা অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও অবৈধ পদে অনিয়োম, দূর্নীতি করে নিয়োগ ও এমপিও ভূক্তহোন।

এছাড়া, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নিয়োমিত শ্রেনী কক্ষে পাঠদান না করে তার ল্যাভ সহকারী প্রোক্সি ক্লাস করান। মো. বাবুল আকতার ( ইনডেক্স নং ৩০৭৯৬৮৯) সহকারী অধ্যাপক গত ১০’ই মার্চ ২০০৫ ইং তারিখে অত্র কলেজে যোগদান করে ১’লা মে ২০১০ ইং তারিখে এমপিও ভূক্তহোন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গত ১’লা ফেব্রুয়ারী ২০১৯ ইং তারিখ হতে গত ৩১’শে জুলাই ২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করেন। এসময় কলেজের ছাত্র- ছাত্রীদের লেখা পড়ার মান উন্নয়নের দিকে খেয়াল না করে কলেজের রিজার্ভ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অযোগ্য প্রভাষকদের দ্বারা কলেজ পরিচালিত হওয়ায় চলিত বছর এইচ এস সি পরিক্ষার ফলাফলে ধ্বস নেমেছে। ১’শত ৯৮ জন পরিক্ষার্থীর মধ্য মাত্র ৭৫ জন পাশ করেছে। পাশের হার শতকরা ৩৮.২৭। 

এবিষয়ে এনামুল হক এর কাছ মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কোন স্বদউত্তর না দিয়ে সু-কৌশলে সরাসরিভাবে কথা বলবেন বলে লাইনটি কেটে দেন। অপর দিকে মো. জাহিদুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, তিনি তার ব্যক্তি পরিচয় উপস্থাপন করেন এবং পর্বর্তী সময়ে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান। এদিকে প্রভাষক বাবুল আক্তার এর সাথে কথা হলে, তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট, এছাড়া আমার আমলে শিক্ষার মানক্ষুন্ন হয়নি। বর্তমানে কলেজ এর রিজার্ভ ফান্ডের টাকা আগের চেয়ে বৃদ্ধি হয়েছে বলে তিনি মুঠোফোনে জানান।

এবিষয়ে বরিশাল মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর পরিচালক ( কলেজ পরিদর্শক) মো.মোয়াজ্জেম হোসেন মুঠোফোনে একাত্তরবিডিটুয়েন্টিফোর (71bd24.com) কে জানান, সরাকারী পরিপত্রের বাহিরে যদি কোন ব্যক্তি তথ্য গোপন করে নিয়োগে এমপিও ভূক্ত হোন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ এবং বে- আইনী। অভিযোগর পরিপ্রেক্ষিতে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন করার হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা