পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চর শিবা গ্রামে স্বপ্না আক্তার (১২) নামের এক কিশোরীকে হত্যা করে। পরে পাশে থাকা কচুডি ভারা খালে মৃতদেহটি লুকিয়ে রাখে একই এলাকার রেজাউল সর্দার। এ ঘটনায় মৃতদেহ উদ্ধার ও ঘাতক রেজাউলকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকার জনগন সুত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ জানুয়ারি, মৃত স্বপ্না আক্তার আনুমানিক সকাল সাড়ে নয়টায় কলোই শাক তোলার জন্য নিজ বাসা হতে পার্শ্ববর্তী রেজাউলের কলোই ক্ষেতে যায়। ঐ সময় স্বপ্নার চাচাতোদাদী আয়শা বিবি তার সাথে ছিল। আয়শা বেগমের শাক তোলা হলে তিনি শাক নিয়ে চলে যান। তখন স্বপ্না আক্তার রেজাউলের কলোই ক্ষেতে শাক তুলছিল। সন্ধ্যার সময়ও স্বপ্না বাড়িতে না আসায় আশপাশের বাড়িঘর সহ আত্মীয় স্বজনের বাড়ি খোঁজ করে স্বপ্নার আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।
পরে মৃতার স্বজন গলাচিপা থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন এর দ্রুত পদক্ষেপে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি রেজাউল সর্দারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এবং আসামির দেয়া জবানবন্দি মোতাবেক মৃতা স্বপ্না আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, আসামী রেজাউল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। ভিকটিম স্বপ্না আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো এবং নিয়মিত মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলমান আছে।