পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের বড়শিবায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে নুরু খান হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ একটি দল। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন মোঃ জামাল হাওলাদার (৩৫), মোঃ বসির হাওলাদার (৪৫), উভয় পিতা- মোঃ মোফাজ্জেল হাওলাদার। তাদের বাড়ি গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের বড়শিবায়।
শনিবার (২২ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটের দিকে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-১০, সিপিসি-১, যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি দল যৌথ অভিযান চালিয়ে ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, শুক্রবার ২১ অক্টোবর ভোররাত ৫ টা ৩০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদ আসে ঢাকা জেলার যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ এলাকায় গলাচিপা থানার চা ল্যকর নরু খান হত্যা মামলার ০২(দুই) এজাহার নামীয় পলাতক আসামী অবস্থান করছে। এমন সংবাদ পেয়ে তার সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ঐ স্থানে পৌছাইলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা পালানোর চেষ্টাকালে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটের দিকে মোঃ জামাল ও বসির দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য গত ২৫ জুলাই ২০২২ তারিখ সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটের দিকে পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার চর কাজল ইউনিয়নের বড়শিবা ০৭নং ওয়ার্ডস্থ ¯øুইজ বাজার এলাকায় জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্ব›েদ্বর জের ধরে চায়ের দোকানের মধ্যে নুর খান নামে একজন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গলাচিপা থানায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৮/২২,ধারা-১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড। এর আগে ঘটনার পরপরই গলাচিপা থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো সমুন সরদার (২২), জুয়েল খান (২২), আমির হোসেন (৫০), ফরিদ বেপারী (২৫) ও নুর নাহার (২৭)। তাদের সবার বাড়ি বড়শিবা এলাকায়। নুরু খান হত্যা মামলায় এ নিয়ে মোট ৭ জন আসামি গ্রেফতার হলো।