লাখ টাকার লোন দেয়ার কথা বলে দীর্ঘ দিন ঘুরিয়ে এক নারী গ্রাহককে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে পটুুয়াখালীর গলাচিপার বেসরকারি এনজিও চিকনিকান্দী পল্লী প্রগোতি সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক শামীম এর বিরুদ্ধে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্র সনাতন ধর্মাবলম্বী ভিবা রানী চক্রবর্তী গ্রাহক হিসেবে এনজিও সমিতির নিয়মানুযায়ী ছয় মাস পূর্বে লোন টাকা পরিষদ করে। পূনরায় ১ লাখ টাকা দরকারে সংস্থার ব্যবস্থাপকের কাছে গেলে, নিয়মানুযায়ী সমিতির সঞ্চয় হিসেবে বিশ (২০) হাজার টাকা জমা রাখতে হয় বলে ব্যবস্থাপক তাকে পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী গত ২০’শে জুন ২০২২ইং শাখা ব্যবস্থাপকের নিকট নগদ বিশ (২০) হাজার ও লোন এর কাগজ পত্র, ফরম সংগ্রহ বাবদ আরও ২ হাজার ৫’শত টাকা জামা দেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই মাস ঘোরাঘুরির পরে শাখা ব্যবস্থাপক গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং বিকেল তিনটার দিকে অফিসে লোনের টাকার নিতে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী লোনের টাকার জন্য তার কার্যালয়ে উপস্থিত হলে হঠাৎ লোন দিবেন না বলে জানান পল্লী প্রোগ্রতী সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক। এতে করে ঐ নারী গ্রাহক হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাই তার পূর্বের জমানো সঞ্চয় ১৭’শতসহ মোট জমাকৃত ২৪ হাজার ২’শত ৬০ টাকা ফেরৎ চায়। এতে ঐ নারী গ্রাহকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সমুদয় জমাকৃত পাওনা টাকা না দেওয়ার কথা অস্বীকার করে সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক। সে বলে শুধুমাত্র সঞ্চয় ছাড়া কোন টাকা তার কার্যালয়ে জমা দেননি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে শাখা ব্যবস্থাপক শামীম ও তার কার্যালয়ের কর্মরত এক কর্মচারী মিলে তাকে চুলের মুঠো ধরে মারধরসহ শ্লীলতাহানী করে। শুধু তাই নয়, টেবিলে থাকা পেপার ওয়েট ছুড়েঁ মারলেও অল্পতে রক্ষাপান। এবিষয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী ঐ নারী আইনী বিচার চেয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং দুই জনকে আসামী করে দন্ড বিধির ৪০৬/৪২০/৩২৩/৩৫৪/৩০৭/৫০৬(২)/১০৯ ধারায় মোকাম গলাচিপা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন – নারিকেল গাছ পরিষ্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট স্কুলছাত্রের মৃত্যু
এবিষয়ে অভিযুক্ত চিকনিকান্দী পল্লী প্রোগতী সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক শামীমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, শুধু মাত্র সঞ্চয়ের টাকা ছাড়া অন্য টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে মিমাংশা হয়েছে বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মিমাংসার বিষয়ে ঐ নারী গ্রাহক ভিবা রানী চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিমাংসার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি নিয়ে পরিষদে বসে ইউপি সদস্য কবির এর মাধ্যমে মিমাংসা করা হয়েছে। তবে মিমাংসার বিষয়ে মারধরের শিকার ভিবা রানী উপস্থিত ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান সে উপস্থিত ছিল না। তবে এ বিষয়ে তাকে পরিষদে ডাকা হবে।
আরও পড়ুন – গলাচিপায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৬তম জন্মদিন উদযাপিত