ঝালকাঠির রাজাপুরে ধারের টাকা জাল টাকা র নোট দিয়ে পরিশোধ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬সেপ্টেম্বর) বিকালে পুলিশ উভয় পক্ষের পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নিয়ে আসে।
তারা হলেন বিউটি মিস্ত্রী, বিপুল হালদার, বিপ্লব হালদার, সুবর্ণা হালদার, সাইফুল খান। এরা সবাই রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, নৈকাঠির স্থানীয় ননী হালদারের স্ত্রী সুবর্ণার কাছ থেকে গত পাঁচ মাস পূর্বে একই এলাকার জয়ন্ত মিস্ত্রীর স্ত্রী বিউটি মিস্ত্রী ১৭ হাজার টাকা ধার নেয়। গত ১৫ দিন আগে বিউটি ঐ টাকা পরিশোধ করেন সাথে আরো ৫ হাজার পুরাতন টাকার নোট পরিবর্তন করে নতুন টাকা দেয় সুবর্ণাকে! সুবর্ণা না বুঝে টাকা রেখে দেয়। গত সোমবার ঐ টাকা থেকে সুবর্ণা একটি পাঁচশত টাকার নোট নিয়ে দোকানে যায়। দোকানদারের কাছ থেকে সুবর্ণা জানতে পারে পাঁচশত টাকার নোটটি জাল। তখন তার বাসায় রাখা আরো একুশ হাজার পাঁচশত টাকা যাচাই করে তাও জাল নোট বলে সন্দেহ করেন সুবর্ণা। পরে বিষটি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানায় সুবর্ণা।
বিউটি এর আগেও ইসলামি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে জাল টাকার ব্যবহার করেছিল বলেও স্থানীয়রা জানান।
আরও পড়ুন – আত্মহত্যার চার দিন পর বসতঘর থেকে বৃদ্ধার গলিত মরদেহ উদ্ধার
এ ব্যাপারে বিউটি মিস্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায়, ঐ টাকা গুলো পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে।
রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কাউখালী শাখার ব্যস্থাপক মো. জুয়েল তালুকদার জানান, নগদ নয়, আমরা ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে থাকি।
রাজাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফা কামাল জানান, প্রকৃত অপরাধী বের করতে মঙ্গলবার (৬সেপ্টেম্বর) বিকালে পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের সার্থে তিনি বিস্তারিত পরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।