বরগুনার তালতলী উপজেলায় বেশি ভাই বোন হওয়ায় ক্ষোভে ও জিদে পিতার করব ভাংচুরের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এমন কাণ্ড করে ওই ছেলে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তালতলী উপজেলার মালিপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন- বরগুনায় শিক্ষককে মেরে ফেলার হুমকি দিলেন রেন্টেকার
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের নসু হাওলাদার তিনি গত ৩০ বছর আগে মারা যান। তার মৃত্যুর পরে রেখে যাওয়া জমিজমার পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক হয় তিন ভাই ও চার বোন। এই জমি নিয়ে ভাই -বোনদের মধ্যে বড় ভাই আলম হাওলাদারের সঙ্গে অন্য ভাই বোনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী সব ভাই বোনদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়ার কথা ছিলো । কিন্তু বড় ভাই আলম তাতে রাজি হয়নি। প্রতি বছরই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ভিটে বাড়ির জমি ভাগ করে দেওয়া হয়েছিলো। ওই সময় বড় ভাই আলম আপত্তির কারণে কৃষি জমি ভাগ করে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় কৃষি জমি দখল করে ভোগদখল করে আসছেন তিনি। এছাড়াও আলমের বাবা বেঁচে থাকতে চিকিৎসা করানোর কথা বলে তিনি বরিশালে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বেশির ভাগ জমি লিখে নেয়। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে অন্য দুই ভাইকে এলাকা ছাড়া করেন তিনি। তবে বোনেরা বাবার জমিজমার ভাগ চাইলে তাদের ছেলে মেয়েদেরও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন তিনি। এ ঘটনার জেরে গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মেঝবোন পারুলের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে আলম হাওলাদার তার বাবার কবরটি ভাংচুর করেন। তখন তিনি বলেন বেশি সন্তান জন্ম কেন দিলো। তাকে একা কেন জন্ম দিলো না। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কবরটি পুরোপুরি ভাঙতে পারেনি।
আরও পড়ুন- কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে অর্ধগলিত তিমি
এবিষয়ে আলম হাওলাদারের মেঝ বোন পারুল বলেন, আমি আমার বাবার সম্পত্তির ভাগ চাইতে গেলে আমার ভাই (আলম) আমাকে লাথি মেরে পাঠিয়ে দেয়। বাবা কেন বেশি সন্তান জন্ম দিল, এ অপরাধে তার বাবার কবরে জুতা দিয়ে পিটায়। পরে হাতুড়ি দিয়ে তার বাবার কবরটি ভাংচুর করেন। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আলম হাওলাদার বলেন, আমাদের জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা চলে। এছাড়া আমার বাবার কবর ভেঙে ফেলেছি এটা সত্যি। বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার কোনো কথা আমি বলিনি। এটা আমার বোনেরা বানিয়ে বলেছে। আমার বোনেরা জমি যা পাবে তার চেয়ে বেশি দখল করে রেখেছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু এর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেননি । অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।