বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগের দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় তিনি কারাগারে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বরগুনা সদর থানায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা আক্তার সাথী একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর এ মামলায় অন্য আসামী– করা হয়েছে তার ননদ মলী ইসলামকে।
এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালে সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের আয়েশাকে বিয়ে করেন সোহাগ। বিয়ের কয়েক বছর ভালো কাটলেও সম্প্রতি যৌতুকের দাবিতে সোহাগ স্ত্রীকে চাপ দেয়। গত ফেব্রুয়ারিতে সোহাগকে এক লাখ টাকা দেন আয়েশা আক্তার সাথী। কিন্তু আরও এক লাখ টাকা দাবি করলে আয়েশা তা দিতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন- ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এলজিইডির কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত, দুই জন বরখাস্ত
এ নিয়ে উভয়ের মধ্য বিবাদ চলতে থাকে। গেল ৯ মার্চ আয়েশাকে মারধর করে বাসা থেকে চলে যান সোহাগ। পরে এই নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর করা মামলায় তাকে রোববার দুপুর দুইটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামি গোলাম আহাদ সোহাগকে রোববার বিকেল ৪টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়– চেয়ারম্যান সোহাগের দ্বিতীয় স্ত্রী আয়শা আক্তার সাথীর ভরণপোষণ ও খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে দিয়ে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিতে থাকেন। এ ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী।