December 7, 2024, 5:49 pm

বরগুনায় জাল সার্টিফিকেটধারী অধ্যক্ষের অপসরন ও গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

তরিকুল ইসলাম রতন, স্টাফ রিপোর্টার

বরগুনার সদর উপজেলার আমতলীর বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই কলেজের শিক্ষকরা। বিএ পাশের জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে আইন বহির্ভূত ভাবে তিনি অধ্যক্ষের পদ দখল করে রেখেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই কলেজের শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন একই কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা।

এসময় তারা ভুয়া সার্টিফিকেট দেখানো ওই অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করা থেকে তাকে দ্রুত অপসরণ এবং অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আমতলী বকুল নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসী আক্তার বলেন, জাল সার্টিফিকেটধারী অবৈধ অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়া স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের মদদে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে অধ্যক্ষের পদ দখল করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। ইতিমধ্যে তার বিএ পাস ডিগ্রী সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কথিত প্রিমিয়ার ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এর ভিসিসহ বেশ কয়েকজন জাল সার্টিফিকেটধারীকে গ্রেফতার করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – শিশুকে হত্যার পর মাটিচাপা, সৎ মা আটক

তিনি আরও বলেন, এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি)করা হয়েছে। গত ১৯৯৯ সালে তিনি বিএ পাশের ভূয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে ইসলাম শিক্ষায় বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন। পরে ২০০৪ সালে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হলে তার বিএ পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে সন্দেহ হলে তাকে ২০১৩ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপরে তিনি সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। সার্টিফিকেট জাল জালিয়াতি মামলায় তিনি দীর্ঘ দিন জেলও খেটেছেন। পরে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন নামধারী প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি নামের একটি ভূয়া প্রতিষ্ঠান থেকে একটি বিএ পাশের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে ওই এলাকার কিছু রাজনৈতিক নেতাদের মদদে জোর করে চাকরিতে বহাল থাকার পায়তরা করেন। আমরা এই জাল সার্টিফিকেটধারী ভূয়া অধ্যক্ষের দ্রুত অপসারণ ও তাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও এ সংবাদ সম্মেলনে আমতলী বকুল নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অন্যন্য শিক্ষকরা জাল সার্টিফিকেটধারী এই অবৈধ অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়ার দ্রুত অপসরন ও গ্রেফতারের দাবী জানান।

এসময়ে বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিনুর রহমান, বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইমরান হোসেন টিটু, সহ- সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ন- সাধারন সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রতন, রফিক সহ জেলার অন্যান্য সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা