বরগুনা বেতাগী উপজেলার ৭ নং শরিষামুড়ী ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের দেওয়া ঘরে পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া সেই ইউপি সদস্য শাহ ফারুক আহমেদ শামিমের পরিবারের পাশে দাড়ালেন এবং তার দুই সন্তানের দায়িত্ব নিলেন বরগুনা-(২) আসনের বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন (এমপি)।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) বিকেল পাঁচটার দিকে এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া সেই ইউপি সদস্য শাহ ফারুক আহমেদ শামিমের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী সহ পরিবারের সকলের খোঁজ খবর ও সান্ত্বনা দিয়ে তার দুই সন্তানের লেখা – পড়াসহ তাদের ভরন পোষনের সকল দায়িত্বভার গ্রহন করেন।
শাহ ফারুক আহমেদ শামিম বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৭ নং শরিষামুড়ী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।
এবিষয়ে বরগুনা -(২) আসন (বামনা,পাথরঘাটা ও বেতাগী)’র বার বার নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন জানান, মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে। কিন্তু গভীর রাতে ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা এ কেমন শত্রুতা।
আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া সেই ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ শামিমের পরিবারকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। আমি নিহত শামিমের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমি নিহত শামিমের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজ খবর নেই, পরে আমি তার দুই শিশু সন্তানের দায়িত্ব ভার গ্রহন করি। এটা ছিলো আমার নৈতিক দ্বায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।
আরও পড়ুন – বরগুনায় ডিবির অভিযানে মাদক কারবারি গ্রেফতার
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান ফোরকান, বেতাগী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার, ৭ নং শরিষামুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শিপন জোমাদ্দার, ৬ নং কাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শুক্কুর মীর, পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সহিদ আকন্দ সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এসময়ে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য.গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষরা বরগুনা বেতাগী উপজেলার ৭ নং শরিষামুড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ শামিমের ঘরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুন থেকে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে শামিমের দুই হাত, পিঠ, ঘাড় এবং মাথার চুল সহ শরীরের ৬০ ভাগ দগ্ধ হয়। একই সঙ্গে পাশে থাকা তার স্ত্রী সূচী আক্তারও দগ্ধ হন।
পরের দিন বুধবার ভোরে শামিম ও তার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্যে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে শামিমকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।