বরগুনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে এক কর্মকর্তাকে চাকরীচ্যুত এবং দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন বরগুনার এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হোসেন আলী মীর।
চাকরিচ্যুত হওয়া কর্মকর্তা হলেন বরগুনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ফোরম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান।
এছাড়াও বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান এবং আমতলী উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির। চাকরিচ্যুত এবং বরখাস্ত হওয়া এই তিন কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান নিয়ে ফেইসবুকসহ একাদিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের জেরে ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা দাবি করছেন টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়, ষড়যন্ত্র করে তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরীচ্যুত সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এ বিষয়টি নিয়ে তারা এখন জনসম্মুখে মুখ খুলতে অপারগতা প্রকাশ করছেন।
বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় এর বক্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দাবি করেন ভিডিওতে যেটা কাকা নিতে দেখা গেছে তার ঈদের বেতন ও বোনাসের টাকা।
গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসএমএসও কর বরগুনা কার্যালয়ের তিন কর্মকর্তার ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তিন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে একজনকে চাকরিচ্যুত এবং দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। একই সাথে বরখাস্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দিলে তার সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হোসেন আলী মীর বলেন, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় অভিযুক্ত ওই তিন কর্মকর্তার মধ্যে একজনকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে এবং দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলার রায় অনুযায়ী বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানা যায়।