বরিশালের বাকেরগঞ্জ আলোচিত বোয়ালিয়া জে.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব এবং স্পর্কাতর স্থানে হাত দেয়ার অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে বোয়ালিয়া জে.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাভক ও এলাকাবাসী।
এই ঘটনায় গত ৪ আগস্ট ঐ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ করে প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবি তুলে ধরেন।
ভুক্তভোগী পরিবার গত ৩ আগস্ট বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এবং অভিযোগের তিন দিন অতিবাহিত হলেও অদৃশ্য কারনে মামলাটি নেয়নি বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ।
৬ আগস্ট শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগি পরিবার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, আমারা এখন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি, আমাদের বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।
ভিকটিম মালা আক্তার (ছদ্দ নাম) জানান, আমি যদি এই ঘটনায় কোনো বিচার না পাই তাহলে আমার আত্নহত্যা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। আমি এবং আমার মা-বাবা গৃহবন্দী অবস্থায় আছি।
আরও পড়ুন- হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই
মালা আক্তারের মা প্রিয়া বেগম কান্না ভেজা কন্ঠে বলেন, আমাদের পরিবারের সবাইকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিচ্ছে একটি মহল। আমার মেয়েটার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের মান সম্মান বলে কিছুই রহিল না।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে একটি বিরোধ থাকতে পারে, এজন্য ছাত্রীর সাথে যে অনৈতিক আচরণ করেছে তার বিচার কেনো হবেনা ?
উল্লেখ্য বোয়লিয়া জে এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে ঐ ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব ও যৌন হয়রানী করে আসছিল, বিষয়টি এক পর্যায়ে ছাত্রী তার মা-বাবাকে জানালে, তারা বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের কছে লিখিত অভিযোগ করেন, এবং জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে ও বিচারের দাবীতে মহাসড়ক আটকে রেখে বিক্ষোভ করে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোনো সময় অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
অপর দিকে অভিযুক্ত পক্ষে একটি কুচক্রী মহল স্কুল কমিটি নিয়ে বিরোধ থাকার ঘটনা টেনে বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে চাচ্ছে, যা এখন ঐ ছাত্রীর সঠিক বিচার পেতে বাধাঁ হয়ে দাড়িয়েছে।