বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামে অবৈধভাবে সরকারি রাস্তার ২টি আকাশমণি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, তিনি বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বার বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য।
আরও পড়ুন- ফুটপাতে জন্ম নেওয়া সেই পথ শিশুকে দেখতে গেলেন ইউএনও
গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বেতাগী উপজেলা বন কর্মকর্তারা সরেজমিনে গিয়ে কাটা গাছগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী চুন্নু মিয়া বলেন, গত সোমবার দুপুরে আমি এই পথ দিয়ে লক্ষীপুরা বাজারে যাবার সময় দুটি গাছ কাটতে দেখি। স্থানীয় দিনমজুর এনায়েত হাওলাদার ও নয়া সিকদার গাছগুলো কাটতেছি।তবে কার নির্দেশে তাঁরা গাছগুলো কেটেছে তা আমি জানি না।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. মস্তফা বলেন, গত সোমবার দুপুরে আমি দুইজন লোককে রাস্তার পাশের দুটি আকাশমণি গাছ কাটতে দেখি। আমি জানতে পারি এগুলো মনির মেম্বার কাটিয়েছেন দুজন লেবার দিয়ে।
আরও পড়ুন- বরগুনায় ইভটিজিং করার প্রতিবাদে মানববন্ধনে বহিরাগতদের সংঘর্ষ!
স্থানীয় মোতালেব বলেন, আমার জমির পাশেই ছিলো এই গাছ গুলো। আমরা এই সরকারি গাছের কখনও একটা ডালপালাও ধরিনি। তবে যারা সরকারি কাছ কেটে নিলো তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মনির মেম্বার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়।
এগুলো রাজনীতি প্রতিহিংসা। আমার সম্মান ও ইজ্জত লুন্ঠিত করার জন্য একটি কুচক্রী মহল এসব করাচ্ছে।
বেতাগী উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে গত মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যাই। তবে তাঁর আগেই গাছগুলো কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। স্থানীয় একটি মিল থেকে আমরা কাটা গাছগুলো উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে আসি। কে বা কারা গাছগুলো কেটেছে তা এখনও সনাক্ত করা যায়নি।
তবে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)সুহৃদ সালেহীন বলেন, এব্যাপারে আমি অবগত আছি। কাটা গাছগুলো জব্দ আছে।
সঠিক তদন্ত করার জন্য একটি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।