বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদে মানববন্ধনে বহিরাগতদের সংঘর্ষ।
সোমবার (১ আগষ্ট) সকাল দশটায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ মানববন্ধন নিয়ে অভিযুক্ত পরিবার ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকরা তর্কে জড়ালে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন- ময়লার স্তূপ হতে এক মেয়ে নবজাতককে জীবিত উদ্ধার
এ সংঘর্ষে সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাকিবিল্লাহ ওরফে মিতু ফরাজী ও সাহস ঘরামী, সুলতান ঘরামীরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ইমরান হোসেন স্বপন কে মারধর শুরু করলে উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং লাইব্রেরীর চেয়ার ভাংচুর ও নানা ক্ষতি সাধন করে। এ হামলায় প্রায় ৫-৬ জন গুরুতর আহত হয়। পরে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও প্রধান শিক্ষক ধীমান চন্দ্র রায়ের চেষ্টায় পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষের পরে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় একটি মিছিল বের করলে পরিস্হিতি অবনতি হয়। পরে স্থানীয় ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান নশা দ্রুত বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পরিস্হিতি শান্ত করে। এবং এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের ও ছাত্রীদের ইভটিজিং করার বিষয়টি তিনি আমলে নিয়ে সুষ্ঠুভাবে বিচার করার আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।
এবিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আদাবাদিয়া ডাকঘর অফিসের পিয়ন আফাজ উদ্দিন তার সরকারি অফিস ব্যবহার না করে বিদ্যালয়ের পাশে থাকা বাড়িতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ডাকঘর ব্যবহার করছেন। এসময় তিনি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই স্কুলের দক্ষিণ পাশে বসে অর্ধনগ্ন হয়ে ছাত্রীদের দাঁড়িয়ে ইভটিজিং করতে থাকে।
পরে এবিষয়টি আমরা লিখিত আকারে প্রধান শিক্ষকের কাছে দাখিল করি। এরই প্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীদে ওই স্কুলে সামনে মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিলো।
তারা আরও জানান, মানববন্ধন জাতে হতে না পারে এই কারণেই অভিযুক্তের লোকজন এসে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে হামলা চালায়।
এই আফাজ উদ্দিন ছাত্রীদেরকে প্রায়ই এরকমের ইভটিজিং করে আসছে। আমরা এই আফাজ উদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
অভিযুক্ত আফাজ উদ্দিনের সাথে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার আমি দুপুরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে রোদে হাঁপিয়ে পড়ি। এ সময় আমার বাড়িতে গাছের ছায়ায় বসে লুঙ্গি দিয়ে ঘাম মুছতে ছিলাম। এসময় আমার অন্ডকোষে শীতলভাব অনুভব করলে জোঁকে ধরছে কিনা ভেবে পরীক্ষা করতে গেলে ওই স্কুলের ছাত্রীরা হাসাহাসি করলে আমি আরও লজ্জিত হয়ে আড়ালে যাই। আমার সংঙ্গে স্বপন মেম্বারের নির্বাচন কালীন দ্বন্দ্ব থাকায় তার কারণে আমার বিরুদ্ধে তারা অপ-প্রচার চালাচ্ছে আর কিছু নয়।
এবিষয়ে কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান নশা বলেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে আমি তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলাপ – আলোচনা করে এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন- ঝালকাঠিতে অর্থ আত্মসাৎ মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি গ্রেপ্তার