বরগুনা বামনা উপজেলার ৪নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নে পিতা ও প্রবাসী পুত্রের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বামনা উপজেলার ৪ নং ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাইজোড়া গ্রামের নুরুল আমিন গাজীর (২)শতাংশ জমি জোর করে দখল করছেন একই এলাকার আব্দুল হাই এবং তার প্রবাসী পুত্র রুহুল আমিন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী দুলাল গাজী তার লিখিত অভিযোগে জানান, রুহুল আমীন বিদেশে থাকা কালিন সময় আমি তার কাছে জমি বিক্রি করি।
তখন রুহুল আমিনের পিতা আব্দুল হাই এর সাথে আমি বায়না/ চুক্তি করি ৷
গত১০-১১-২০২০ ইং তারিখ ডৌয়াতলার ৩৪ নং মৌজা ও ৩৬৯ নং খতিয়ানের হাল, ১১৩০ নং দাগ থেকে আমি রুহুল আমিনকে (০০.৮০ পয়েন্ট) জমির দলিল দিলে তার আমার বাবা আব্দুল হাই রুহুল আমিনের পক্ষে জমি বুঝিয়ে নিয়ে সেই জমিতে পাকা ইমারত নির্মান করেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের বাড়ি নির্মাণ করার দুই বছর পরে রুহুল আমিন বিদেশ থেকে দেশে আসলে তার বাবা আব্দুল হাই এবং তার স্ত্রী আমার কবলাকৃত জমি জবরদখল করার চেষ্টা করলে আমি তাদের কে বাধা দেই। পরে রুহুল আমিন আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা মামলার দেওয়ার ভয় দেখায়।
পরে আমি কোন উপায় না পেয়ে বরগুনার কোর্টে একটি বন্টন মামলা করি এবং এই মামলায় উভয়কে স্থিতিশীল থাকার অনুরোধ করেন এবং ঐ জমিতে কোর্টের এস্টে অর্ডার থাকায় উভয়ের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয় । কোর্টের এস্টে অর্ডার অমান্য করে ওই জমিতে দুইবার দোকান ঘড় তোলার চেষ্টা চালিয়ে যায় প্রভাবশালী রুহুল আমিন সহ্ তার সন্ত্রাসীবাহিনী।
এই প্রভাবশালীদের টাকার গরমে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেন না।
ভুক্তভোগী দুলাল গাজি বলেন, বিগত ১৬ জুলাই মাসে তফসিল বর্নিত সম্পত্তির পাশে আমার অন্য জমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে জমির মাটি কেটে জমি নষ্ট করে এবং ঐ জমিতে দোকান ঘরের জন্য কাট- খুটি দিয়ে ঘর তৈরির চেষ্টা করেন ।
আমি তাদেরকে বাধা দিলে তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমি ৯৯৯ এ কল দিলে বামনা থানার এস আই মোশারেফ হোসেন ঘটনাস্থলে এসে দোকান ঘরের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১১ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ আব্দুল হাই এর ছেলে সফিক (৩২) আমার জমির সামনে মুল আমার জমির সামনে মূল সড়কে মটরসাইকেল এক্সিডেন্টে মারা যায়। সেই মামলায় আমাকে ফাঁসানোর জন্য অনেক চেষ্টা চালায়। কিন্তু আল্লার রহমতে এক্সিডেডেন্টা সি. সি. ক্যমেরার ভিডিও ফুটেজ থাকার কারণে ওই মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়াতে পারেননি তারা।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী দুলালের পিতা মোঃ নুরুল আমিন গাজী জানান, এই সম্পত্তি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা হলেও তারা তা মানতে রাজি হয়নি। তারা অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় কাউকে তোয়াক্কা করেন না। জোর করে অন্যের জমি দখল করাই এদের কাজ। আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।
আরও পড়ুন- এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ! ৩০ হাজার টাকায় রফাদফা
স্থানীয় আল আমিন জানান, প্রায় দুই বছর আগে তারা ওই জমি দখলে যায়। তখন রুহল আমিন বিদেশ থাকেন। পিতা আব্দুল হাই রুহুল আমিনের পক্ষে এই জমি বুঝিয়ে নেয় এবং এই জমির উপর পাকা ইমারত নির্মাণ করেন। কিন্তু পাশে থাকা দুলালের আরও জমি তারা বর্তমানে জোর করে জবর দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন এবং সাংবাদিকদের কথা শুনে ফোন বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম জানান, আমরা উভয়ের অভিযোগ পেয়েছি। তবে এই সম্পত্তির উপর কোর্টের একটা নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমরা এর কোন সমাধান করতে পারবো না। বর্তমানে ওই জমিতে সকলের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ করছি। কোর্টের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।