বরগুনার বামনা উপজেলায় এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে উঠেছে। পরে ৩০ হাজার টাকায় স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বামনা উপজেলার শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ হানিফ প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ওই স্কুলের ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
গত মঙ্গলবার ১৯ তারিখ সন্ধায় শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে এঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে স্থানীয় আজিজ, আবুল অনেকে জানান, স্কুলে প্রাইভেট পড়ার নামে এসব নোংরামী কিছুতেই সয্য করা যায় না । এই স্কুলের সুনাম আছে। তা ধরে রাখার দ্বায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এই সহকারী শিক্ষক হানিফের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ উঠেছে। আমরা এরকম অসভ্য শিক্ষক থেকে বাচঁতে চাই।
তারা আরও জানান, অভিযুক্তকারী শিক্ষক হানিফ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার ও প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের কাছে মিমাংসার জন্যে দেন। সে টাকা থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ভুক্তভোগীর বাবাকে দেওয়া হয়। আর বাকী টাকা চেয়ারম্যনের পকেটে।
আরও পড়ুন- গুঁড়িয়ে দেয়া হল সাবেক এমপির বাসভবন
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমরা গরিব মানুষ। যা হবার হয়েছে। আমরা কি বা করতে পারবো। আমরা কোথাও এর সুষ্ঠু বিচার পাবো না। তাই বেশি কিছু বলতে চাই না। আপনারা আমাদেরকে মাফ করুন। আমি এসব বিষয় আর কিছুই বলতে পারবো না।
অভিযুক্তকারী শিক্ষক মোঃ হানিফ এসব বিষয় অন্বীকার করে জানান, গত বছর আমি তাকে প্রাইভেট পড়িয়েছি। এবছর তাকে পড়াই না।আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা ও ভিওিহীন।
তিনি আরও জানান, আপনারা যদি এসব বিষয় প্রমান করতে পারেন। তাহলে যেই শাস্তি হবে আমি তা মাথা পেতে নিবো।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জনিনা। আপনাদের মাধ্যমে এই প্রথম শুনলাম।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জোমাদ্দারের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমি এব্যাপারে কিছুই জানি না।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম জানান, এব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।