পটুয়াখালীর গলাচিপায় উচ্ছেদ অভিযানে সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি ও তাঁর শ্যালক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন খানের বাসভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার উলানিয়া বন্দরে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাইয়ুম। সরকারি খাস যায়গায় অবৈধভাবে বাসভবন নির্মাণ করার কারণে সেগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার ও গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাইয়ুম বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে যার যতটুকু অবৈধ স্থাপনা আছে, তার ততটুকুই উচ্ছেদ করা হবে। এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে আমার বাবা উলানিয়া বন্দরে ১২ শতক যায়গায় ভোগ দখল ও বসবাস করে আসছেন। ২০০১ সালে আমি সেই যায়গায় দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। আমি জাতীয় সংসদ সদস্য থাকাকালিন ২০০৭ সালে বসত ঘরের জন্য আধা শতাংশ করে আমার বাবা, মা, আমি ও আমার স্ত্রীর নামে ২ শতক জায়গা চান্দিনা ভিটার ডিসিআর নিতে তৎকালিন ইউএনও আমাকে অনুরোধ করেন। আমার পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করার কারণে আমি কোন ডিসিআর এর আবেদন করিনি।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে ভবনটি সরকার অবৈধ স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করে আমাকে নোটিশের মাধ্যমে অবগত করে। এ নিয়ে আমি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করি যার নম্বর- ৭৫৪১/২০২২। রিট আবেদনটি হাইকোর্টের ১৭ নম্বর বেঞ্চের বিচারপতি জাফর আহম্মেদর বিচারাধিন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আমার বোধগম্য নয় রিট আবেদনের শুনানির আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কীভাবে ভবনটি ভাঙ্গতে পারেন?