বরগুনার আমতলী উপজেলায় গরীবের মেয়ে হওয়ার অজুহাতে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় এক কলেজছাত্রী বিষপান করার পাঁচ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৮ জুন) বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, কলেজছাত্রী আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের বাচ্চু মোল্লার একমাত্র মেয়ে।
আরও পড়ুন- বাল্য বিবাহ মুক্ত পৌরসভা ঘোষণা করলেন বরগুনার ‘মেয়র’ মহারাজ
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের মেখলেছুর হাওলাদারের ছেলে সুজন হাওলাদারের সঙ্গে দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কলেজছাত্রীর। এরপর বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। গত শুক্রবার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে মেয়ের পরিবার গরীব-দরিদ্র হওয়ায় হঠাৎ পাত্র সুজনের খালা বিয়েতে আপত্তি করেন। একারনে তার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। পরে অভিমান ও অপমান সইতে না পেরে গত সোমবার সকালে বিষ পান করেন ওই কলেজছাত্রী। এরপর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় একইদিন দুপুরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (১৮ জুন) সকালে মৃত্যু হয় কলেজছাত্রীর।
আরও পড়ুন- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামীলীগ নেতা বহিষ্কার
তামান্নার বাবা বাচ্চু মোল্লা বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে সুজন। এই শুক্রবারের আগের শুক্রবার আমার মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত সুজনের খালা মাহফুজা আমাদের গরিব বলে এবং মেয়ের মা বিদেশে থাকে এই অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়। অভিমানে আমার মেয়ে বিষপান করে।
প্রেমিক সুজন হাওলাদার বলেন, গত শুক্রবার বিয়ের তারিখ নির্ধারন করা হয়েছিল। কিন্তু আমার পরিবারের সঙ্গে কথার মিল হয়নি। তাই বিয়ে হয়নি। তবে কি কারনে বিষ খেয়েছে তা আমাদের জানা নেই।
এবিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, এবিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যাইনি । তবে অভিযোগ পেলে তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।