বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৬ নং কাকচিড়া ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে চাল বিতরনে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) পাথরঘাটার ৬ নং কাকচিড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কাকচিড়া ইউনিয়নে ৮১৪ জন জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে, ওই ইউনিয়নের সকল মেম্বারগন প্রতি জেলেদের নিকট থেকে ১১০ টাকা করে অর্থ আদায় করেছেন । এতে জনমনে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী কাকচিড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তালিকাভুক্ত জেলেরা জানান, আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের বস্তাটি পাট জাতের হওয়ায় আমাদের কাছ থেকে পরিষদ কতৃপক্ষ ফেরত নিচ্ছে। তা বিক্রি করে ক্যারিং খরচ চালানোর কথা থাকলেও আমাদেরকে ১১০ টাকা করে মেম্বারকে দিতে হয়েছে । তাছাড়া চলতি বছরের শুরুর দিকে মৎস্য আহরনকারী ট্রলার মালিক ও শুন্যভাগি জেলেদের মাঝে ট্রেড লাইসেন্স বিক্রি করে প্রতি ওয়ার্ডের মেম্বাররা উক্ত ইউনিয়নের জেলেদের নিকট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করেছে । তখন এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিকট জানতে চাইলে তাদের ট্রেড লাইসেন্স বিতরণের কোন নির্দেশনা ছিলোনা বলে তারা জানান।
অভিযুক্তকারী ৯ নং ওয়ার্ডের এক মেম্বার দুলাল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাথরঘাটা গোডাউন থেকে চাল বহনের খরচ বাবদ এই টাকা নেয়া হয়েছে, অন্য কোন বিষয়ে নয়।
৬ নং কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , জেলেদের বরাদ্দকৃত চাল বহনে অর্থ আদায়ের কোন নির্দেশনা নেই। যদি তারা এমনটা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভুল করেছেন। তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য অফিসার জয়ন্ত কুমার জানান, অর্থ আদায়ের জন্য আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। যে সকল সদস্যগণ অর্থ আদায় করেছেন তারা আইন বহির্ভূত কাজ করেছেন। কোন উপযুক্ত প্রমাণাদি পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদ যাদের তালিকা দিয়েছে তাদেরকেই তালিকায় বহাল রাখা হয়েছে। হয়তো আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে আমরা বাদ পড়া জেলেদের বিষয়টি বিবেচনা করবো।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, এসব বিষয়ে আমি অবগত নয়। তবে এ ধরনের কোন অভিযোগ প্রমানিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।