December 8, 2024, 3:56 am

বরগুনায় ৩৫ বছরের দখলকৃত জমিতে রাজাকারের ছেলে ও নাতীর সন্ত্রাসী হামলা

স্টাফ রিপোর্টার, বরগুনাঃ

বরগুনা সদর উপজেলার উওর বড় লবন গোলা এলাকায় তালিকাভুক্ত স্বাধীনতা বিরোধী মৃত মোঃ সামসু (রাজাকার) এর ছেলে নান্না (৫৫) মিয়া ও নাতি মোঃ রাজু (৩০) মিয়া ৩৫ বছরের দখলকৃত ফসলী জমিতে সন্ত্রাসী হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত বুধবার (৩ রা জুন) দুপুর দুইটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার ২৭ নং মাইঠা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জিডি সুত্রে জানা যায়- কবলা ও বায়নাসুত্রের জমির মালিক একই এলাকার মৃত মুজাফফর আলী হাওলাদারের ছেলে বারেক হাওলাদার দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত যেই জমি ভোগ – দখল করে আসছেন সেই জমিতে জোর করে তালিকাভুক্ত স্বাধীনতা বিরোধী (রাজাকার) মৃত সামসুর ছেলে নান্না ও নাতি রাজু মিয়া জোর পূর্বক দখল সন্ত্রাসী চালিয়ে বিশ হাজার টাকার ফসল নষ্ট করে।
এবিষয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন মৃত্যু মোজাফফর হাওলাদারের ছেলে বারেক হাওলাদার।

আরও পড়ুন- পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের ঘটনায় ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

স্থানীয় আফজাল হোসেন, আনসার উদ্দিন, মজিদ ও আবু সালেহ সহ আরও অনেকে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এই জমি বারেক হাওলাদার দখল করে আসছেন এবং কখনও শুনিনি এই জমিতে অন্য কেউ শরিকদার আছেন। হঠাৎ করে শুনি গত বুধবার নান্না ও তার ছেলে রাজু তাদের দলবল নিয়ে ওই জমিতে দখল সন্ত্রাসী করে অনেক টাকার ফসল নস্ট করে।

তারা আরও জানান,চিহ্নিত রাজাকার মৃত সামসুর ছেলে নান্না ও নাতি রাজু এদের কাজই মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা তোলা, সাধারন মানুষকে হয়রানি করা। এদের জ্বালায় এই লবণ গোলা এলাকার মানুষ আজ অতিষ্ট। এরা মাদক সহ সকল কাজের সাথে জড়িত। আমারা এলাকার সাধারন মানুষ ওদের হাত থেকে মুক্তি চাই।

ভুক্তভোগী বারেক হাওলাদারের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি কবলা ও বায়না সুত্রে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এই জমি ভোগ দখল করে আসছি। সেই জমিতে গত বুধবার দপুরে আমার সৎ ভাইয়ের ছেলে নান্না ও তার ছেলে রাজু একদল সন্ত্রাস নিয়ে জমি দখলের পায়তারা করে এবং অনেক টাকার ফসল নষ্ট করে। পরে আমাকে ও আমার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পরের দিন রাতে আবার কুড়ের ঘরে তারা আগুন দেয়। এই নান্নু তালিকাভুক্ত স্বাধীনতা বিরোধী (রাজাকার) সামসুর ছেলে। আমি ও আমার পরিবার এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে চাই।

অভিযুক্তকারী নান্নু বলেন– ওই জমিতে আমার জমি রয়েছে। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিওিহীন। আমি এর কিছুই জানি না।

এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, এব্যাপারে বারেক হাওলাদার থানায় একটি সাধারন ডায়েরি( জিডি) করেছেন। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা