পটুয়াখালীর গলাচিপায় এমাদুল গাজী (৩৫) নামে এক কৃষকের ভোগদখলীয় রেকর্ডীয় ২২ শতক জমি চাষাবাদে বাধা প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে কালু হাওলাদারের (৬০) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রেকর্ডীয় জমির মালিক কৃষক এমাদুল গাজী থানা পুলিশ সহ গত ২৪ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবরে কালু হাওলাদারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর এমপি-৬০/২০২২। এ ঘটনা উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া গ্রামে। ভুক্তভোগী এমাদুল ওই গ্রামের মো. শাহ আলম গাজীর ছেলে। অভিযুক্ত কালু একই গ্রামের মৃত গফুর হাওলাদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া মৌজার এসএ খতিয়ান ২৩৮ ও ১৪৭ দাগ নং ১৫৮৫, ১৬০০, ১৬০২ আরো ১২ টি দাগ আছে। মোট জমির পরিমান ০-২২ শতাংশ। দলিলমূলে এই জমির মালিক এমাদুল গাজী। এই জমি মাহাবুলের কাছ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে রেজিস্ট্রি দলিল করেছেন এমাদুল গাজী।
আরও পড়ুন- গলাচিপায় ইয়াবাসহ একজন ব্যবসায়ী গ্রেফতার
পূর্বের জমির মালিক মাহাবুল বলেন, আমি জমি কালু হাওলাদারের কাছ থেকে ক্রয় করেছিলাম। আমার চিকিৎসার জন্য আমি জমি বিক্রি করে দিয়েছি এমাদুল গাজীর কাছে। এই জমির মালিক প্রকৃতপক্ষে এমাদুল গাজী। কিন্তু প্রতিপক্ষ ভ‚মি দস্যুরা ওই জমিতে গোলমাল সৃষ্টি করলে জমির মালিক এমাদুল গাজী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দেন। উভয়পক্ষের সালিশ বৈঠকে এমাদুল গাজীর দলিল দেখা হয়। প্রতিপক্ষ কালু হাওলাদার স্থানীয় সালিশি অমান্য করায় এমাদুল গাজী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এমাদুল গাজী বলেন, জমি ক্রয় করার পর থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর পর্যন্ত আমার ভোগদখলে আছে। আমি জমি ভোগদখল করতেছি। হঠাৎ করে কালু হাওলাদার গংদের নিয়ে আমার জমিতে ডাল চাষ করতে বাধা দেয়। আমি স্থানীয়দেরকে জানালে কোন প্রতিকার পাইনি। এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায়।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ কালু হাওলাদারের কাছে মুটোফোনে জানতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউপি সদস্য মো. জহির উদ্দিন বলেন, দুই পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে কিন্তু প্রতিপক্ষ কালু গং পরিষদে আসেনি।
ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, যেহেতু মামলা চলমান সেখানে আমাদের কোন কথা নেই।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, এ ঘটনায় আমার আদালতে মামলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে এর সমাধান করা হবে।
আরও পড়ুন- গলাচিপায় বজ্রপাতে দুই গরু নিহত