পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক শাহনামার প্রধান বার্তা সম্পাদক ও বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানীর। এতে তার মাথায় প্রায় ছয় থেকে দশ ইঞ্চি ক্ষত হয়ে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন শেষে বর্তমানে সার্জারী ওয়ার্ডে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন সাংবাদিক নোমানী।
শুক্রবার (৩জুন) বিকেলে উপজেলার চল্লিশকাহনিয়া চল্লিশকাহানিয়া শাহরুমীর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিপক্ষের হাত থেকে ছেলে রক্ষা করতে এসে সাংবাদিক নোমানির মা পারুল বেগম ও বোন লিপি বেগমও আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সাংবাদিক নোমানী অভিযোগ করে বলেন, গ্রামের বাড়িতে স্থানীয় একটি দাওয়াতে গেলে চল্লিশ কাহনিয়া হাজিবাড়ি জামে মসজিদের কালিমা তাইয়েবা খচিত একটি তোরণ ও মসজিদ সংলগ্ন করবস্থান উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয় এলাকার একটি গ্রুপ। সাংবাদিক নোমানী সহ এলাকার সচেতন মহল এর প্রতিবাদ করায় সেই তোরণটি ভাঙ্গতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয় তারা। প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার (২জুন) সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানীর সাথে প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেনের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার বিকেলে চল্লিশকাহনিয়া শাহরুমীর বাজার এলাকায় আসলে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মুনসুর মোল্লার ছেলে দুলাল ও আলম, ফেরদাউস, ফজলে হক, কালু মোল্লা, হোসেন আলী, দেলোয়ার সহ প্রায় ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আগে থেকেই ওৎ পেতে ছিল। সাংবাদিক নোমানী ঘটনাস্থলে গেলেই তার উপরে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে তার মা ও বোন এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে নোমানীর বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়।
রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, ঘটনার পরপই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সাংবাদিক নোমানীসহ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বদলিতে ভাতাভোগী ও কর্মচারিদের মাঝে স্বস্তি