দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে এ বছর উপজেলার পৌর এলাকাসহ ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ২০ হাজার আম চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন হয়েছে ৫ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন আম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং গুটি নষ্ট না হওয়ায় ফলটির ভালো ফলন হওয়ার অন্যতম কারণ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, আম রুপালী, হাঁড়িভাঙ্গা, গোপাল ভোগ, ফজলি ও নাগ ফজলি, মিশ্রিভোগ ও লেঙড়া ও বেনানা ম্যাঙোসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছের থোকায় থোকায় ঝুলছে। জ্যেষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিচি থেকে উৎপাদিত এসব আমে ইতোমধ্যে পাক ধরেছে। তবে কলম করা গাছগুলোতে থাকা আম রুপালী, হাঁড়ি ভাঙ্গা, গোপাল ভোগ ও মিশ্রি ভোগ এখনও পাকতে শুর করেনি। আগামী এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যেই এসব গাছের আমও পাকতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন- দিনাজপুরে মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ১৬তম শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন
উপজেলা শিবনগর এলাকার আম আতিয়ার রহমান বলেন, তার ৫ বিঘা জমির ওপর আম বাগান রয়েছে। বাগানে প্রায় ২০০ আম গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছেই প্রচুর আম ধরেছে। আমের ভারে গাছের ডালগুলো মাটিতে নুয়ে পড়ছে। প্রতিটি আম রুপালীর গাছ কলমে তৈরি করা। তাই দুই বছর পর থেকেই ফল পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন আশানুপ হয়েছে। বাজারে আমের দাম বর্তমানে ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আম বিক্রি করে অন্তত সাড়ে তিন থেকে চাল লাখ টাকার আম বিক্রি করবেন কবে আশা করছেন।
অ¤্রবাড়ী গ্রামের স্কুল শিক্ষক আবুল হাসান বলেন, তার বাগানে শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছেই প্রচুর আম ধরেছে। আশা করা যাচ্ছে অন্তত লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, দিনাজপুর জেলায় এবার আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফুলবাড়ীসহ এর আশপাশের উপজেলাগুলোতেও আমের লফণ অনেক ভালো হয়েছে। আশেপাশের ঘোড়াঘাট, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় আমের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ফুলবাড়ী উপজেলায় এ বছর ১০০ হেক্টর জমিও বেশি জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন আম।