বরগুনায় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। চিকিৎসক সংকট থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ১৫ লাখ এ উপকূলে মানুষ । এ হাসপাতালে ৪২ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও বাস্তবে রয়েছে ৮জন। তাও আবার ৪জন কনসাল্টেন্ট,৩ জন মেডিকেল অফিসার ও ১ জন ত্বত্তাবধায়ক। এ কারনে উপকুলের সাধারন মানুষ সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমানে বরগুনার এ হাসপাতালটি বেহাল দশায় পরিনতি হয়েছে । সরকরারি যন্ত্রপাতি থাকলে নেই তার ব্যবহার।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের নিচ তলায় রেডিওলজিস্ট না থাকার কারনে এক্সরে রুমের ভিতরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। চক্ষু বিশেষজ্ঞ না থাকায় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটারের এক কোনায় পরে রয়েছে চক্ষু পরীক্ষা করার মেশিন। অপারেশন থিয়েটারে বিশেষজ্ঞ না থাকায় কোন অপারেশন হচ্ছে না। কবে অপারেশন হয়েছে তা কেহ বলতে পারছে না। অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি মরিচা ধরে আছে। ব্যবহার উপযোগি নয়। আলট্রাসনোলজিস্ট নেই এমন অজুহাত দেখিয়ে মূল্যবান মেশিনটিকে অযত্মে ফেলে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বরগুনায় বিয়ের দাবি নিয়ে আর এক তরুণীর অবস্থান
চিকিৎসা নিতে আসা আরিফ নামের এক রোগী জানান, আমার শরীলটা ভিশন খারাপ লাগছে,তবুও দীর্ঘ দুই ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করেও কোন ডাক্তারের সিরিয়াল পাইনি,আজ ডাক্তার দেখিয়ে যেতে পারবো কিনা তা বলতে পারছি না।
আরেক রোগী আলফু বেগম জানান, আলট্রাসনোলজিস্ট নেই এমন অজুহাত দেখিয়ে মূল্যবান মেশিনটিকে অযত্মে ফেলে রাখা হয়েছে।
নুপুর আক্তার নামের আরেকজন রোগী অভিযোগ করে জানান, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হাসপাতালের বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বেশি টাকা খরচ করে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে আর্থিক ক্ষতিসহ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকার কারনে চিকিৎসা দিতে সমস্যা হচ্ছে এবং আমাদের এখানে একজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও একজন গাইনি ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন রেডিওলজিস্ট না থাকার করনে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন চালুর ব্যবস্থা করা যাচ্ছেনা।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের কোন যন্ত্রপাতি আমরা ক্রয় করি না। মন্ত্রনালয়ে চাহিদা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তারা মালামাল পাঠিয়ে দেয়।