December 8, 2024, 4:17 am

বরগুনায় বিয়ের দাবি নিয়ে আর এক তরুণীর অবস্থান

তরিকুল ইসলাম রতন, বরগুনাঃ

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় আর এক তরুণী বিয়ের দাবি নিয়ে কুয়েত প্রবাসী হাসানের বাড়িতে অনশনে বসেছেন পিরোজপুর জেলার জর্ডান প্রবাসী সোনিয়া নামের এক নারী।

রবিবার (১৫ মে) পাথরঘাটায় প্রবাসি হাসানের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন সোনিয়া ।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার থেকে তিনি এ অনশনে বসেছেন। প্রবাসী হাসান পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের পশ্চিম আমড়াতলা এলাকার আলতাফ চৌকিদারের ছেলে। সোনিয়া পিরোজপুর জেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের বাদুরা এলাকার আব্দুস সামাদ জোমাদ্দারের মেয়ে। এর আগেও সোনিয়ার একটি বিয়ে হয়েছিল।

আরও পড়ুন- চুরির অপবাদে শিকলে বেঁধে কিশোরকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার -৩

ভুক্তভোগী সোনিয়া জানান, জর্ডানে থাকার সময় ইমো গ্রুপের মাধ্যমে কুয়েত প্রবাসী হাসানের সাথে তার পরিচয় হয়। মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগের একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রায় তিন বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক চলে।

তিনি আরো জানান, হাসান বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি করার কথা বলে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পরে বিয়ের কথা বললে হাসান তাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। একপর্যায়ে হাসানের মোবাইল বন্ধ করে আমার নাম্বার ব্লাকলিস্টে রেখে দেযন। অনেক চেষ্টা করেও কোনো যোগাযোগ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে পাথরঘাটায় হাসানের বাড়িতে এসেছি।

আরও পড়ুন- বরগুনায় ৭ গোস্ত ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

এ বিষয়ে প্রবাসী হাসান জানান, সোনিয়ার সাথে যে গ্রুপে পরিচয় হয়েছে সেখানে আরো অনেক প্রবাসী মেয়ে-ছেলে আছে। সবাই সবার সাথে কথা বলে। কথা বললেই যে বিয়ে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সোনিয়ার সাথে বিয়ের কোনো কথা হয়নি। আমাকে হয়রানি করতে আমার বাড়িতে উঠেছে। হাসানের মা ফাতিমা বেগম জানান, এ ঘটনায় পুলিশকে অবহিত করে মেয়ের মাধ্যমে তার বাবা-মাকে নিয়ে আসার জন্য বলেছি। তারা এলেই ঘটনার সমাধান করা হবে। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম নাসির জানান , স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দিয়ে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর সাথে দেখা করেছি,তাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি কিন্তু সে কোন অভিযোগ দেননি। পরে রবিবার সকালে মেয়ের বাবা এসে তাকে নিয়ে যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা