পটুয়াখালীর গলাচিপায় চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে শিকল দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এই অমানবিক নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূহুর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে।
গত ৯ মে উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতনের পর থেকে ওই কিশোর নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
নির্যাতনের শিকার কিশোর মুন্না (১৬) ওই গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহান কমান্ডারের ছেলে।
ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোর মুন্নাকে একটি গাছের সাথে লোহার শিকলে বেঁধে বোয়ালিয়া রাড়ি বাড়ির হজরত আলী নামে এক ব্যক্তি বেধরক মারধর করছে। এসময় আশপাশে দাড়িয়ে এই নির্যাতনের দৃশ্য দেখছে ওই বাড়ির লোকজন। ঘটনাকালে কিশোরকে উদ্ধারের বদলে অনেককে ভিডিও করতেও দেখা গেছে। মারধরে মুন্নার শরীরে রক্তাত জখম হতেও দেখা গেছে।
কিশোর মুন্নার পরিবারের অভিযোগ, গত ৯ মে থেকে ১১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় মুন্নার ওপর এ নির্যাতন চালানো হয়। তবে ১১ মে রাতের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মুন্নার সৎমা হাসিনা বেগম বলেন, পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকলেও মুন্না বাড়িতে থাকত। খবর পেয়ে আমরা বাড়িতে এসেছি। আমার ছেলেকে মিথ্যা টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে দফায় দফায় তিন দিন ধরে স্থানীয় হজরত আলী, ফেরদৌস, মমতাজ এবং তানিয়া নির্যাতন করে। এরপর থেকে আমার ছেলে নিখোঁজ রয়েছে কোথায়ও খুঁজে পাচ্ছি না।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, কিশোর মুন্নাকে একটি গাছের সঙ্গে লোহার শিকলে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এবং পাশের বাসায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে শিকল ছুটিয়ে কিশোর মুন্না পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।
ওসি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে মুন্না তার মামার জিম্মায় ছিল। পরে সেখান থেকে মুন্না কোথাও পালিয়ে যায়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।