বরগুনার বামনা উপজেলার দক্ষিন ঘোপখালীতে মসজিদে নামাজ পড়তে আসায় নুরুল হক (৩৫) নামের এক মুসল্লীকে নামাজ পড়া অবস্থা লাথি মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ স্থানীয় জলিল (৪৫)নামের এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বামনা উপজেলার পূর্ব গোপখালী গ্রামের হাওলাদার বাড়ীর আল -আকসা জামে মসজিদে স্থানীয় আরশেদ আলীর ছেলে জলিল হাওলাদার তার প্রতিবেশী খবির উদ্দিনের ছেলে নুরুল হক নামের এক মুসল্লীকে নামাজ পড়তে আসতে নিষেধ করেন। এর পরেও তিনি মসজিদে আসায় তাকে জিদ করে লাথি মেরে ফ্লোরে ফেলে দেয়। এসময়ে মুসল্লী নুরুল হক তার বুকে প্রচন্ড আঘাত পায়ে আহত হয়েছে। পরে অন্যান্য মুসল্লীরা এসময় তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনাটি নিয়ে বর্তমানে ওই মসজিদে নামাজ পড়তে আসা অন্যান্য মুসল্লীদের মধ্যে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। গত বুধবার শবে কদর রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ছগির, নুরুল ইসলাম, আঃ ছামাদ হাওলাদার, ও ইসমাইল হাংসহ অনেকে জানান, শবে কদর রাতে আমরা সবাই মসজিদে নামাজ পড়তে আসি। পরে আরশেদ আলীর ছেলে জলিল হাওলাদার একই এলাকার খবির উদ্দিনের ছেলে মুসল্লী নুরুল হককে বলে তোকে আমাদের মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে নিষেধ করেছি তার পরেও আসছো। এখন তোকে এর মজা বুঝামু। এসব বলেই তাকে জায়নামাজে থাকা অবস্থায় লাথি মেরে ফ্লোরে ফেলে আহত করে দেয়। এসময় মুসল্লী নুরুল হক তার বুকে প্রচন্ড ব্যাথা পায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করি। মসজিদ আল্লাহর ঘড়। যাতে এই মসজিদে সবাই নামাজ আদায় করতে পারে আপনাদের মাধ্যমে এই জালেমের হাত থেকে মুক্তি চাই।
আরও পড়ুন- ঈদকে সামনে রেখে আমতলীতে আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত
ভুক্তভোগী মুসল্লী নুরুল হক জানান, আমি দীর্ঘদিন হাওলাদার বাড়ির আল- আকসা জামে মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছি । এই মসজিদ ছাড়া আমাদের বাড়ির কাছাকাছি আর কোন মসজিদ না থাকায় এখানে এসে নামাজ পড়তে হয় কিন্তু ওই বাড়ির প্রবাসী জলিল সে আমাকে তাদের বাড়ির মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে নিষেধ করেন। তাদের মসজিদে নামাজ পড়তে এলে সে মেরে ফেলবে বলে নানা হুমকি ধামকি দেয়। এসব বিষয় নিয়ে নানা কথা কাটাকাটি হয়। এসবকে কেন্দ্র করে পবিত্র শবে কদরের নামাজ তাদের মসজিদে পড়তে এলে তারা আমাকে গালমন্দ করে এক পর্যায়ে আমাকে লাথি মারে মসজিদের ফ্লোরে ফালাইয়া দেয়। তখন বুকে আমি প্রচন্ড আঘাত পাই। আপনাদের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত প্রবাসী জলিল হাওলাদার জানান, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি । এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক। ৩ নম্বর রামনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এ বিষয়ে আমি লিখিত একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বামনা থানার ওসি বশিরুল আলম জানান, এ ঘটনায় আমি থানায় কোন লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।