তৃতীয় পর্যায়ে ঝালকাঠির ভূমিহীন ও গৃহহীন ১৮৪ পরিবারকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে জমি ও গৃহ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলায় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ২৬ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১ টায় এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় প্রত্যেক পরিবারের হাতে ঘরের চাবি, জমির দলীল এবং সনদপত্র তুলে দেয়া হয়।
৩য় পর্যায়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫৪৭ টি পরিবারের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর করার কথা থাকলেও সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষ মাত্র ১৪৭ টি গৃহ নির্মান সম্পন্ন করতে পেরেছে। অসম্পুর্ণ হওয়া বাকি ৩৮৩টি গৃহের কাজ চলমান আছে বলে জানিয়েছে স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা। তবে কাঠালিয়া উপজেলায় শতভাগ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই উপজেলায় চলতি পর্যায়ে ৯৯টি ঘর হস্তান্তর করার ঘোষনা অনুযায়ী সব গুলোই বুধবার হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- উপজেলা পরিষদ’র আয়োজনে দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
অন্যদিকে এই ধাপে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ১১৮ টি ঘরের স্থলে ১৩টি, রাজাপুরে ৮০ টি ঘরের স্থলে ৩৫ টি, এবং নলছিটি উপজেলায় ২৫০ টি ঘরের স্থলে ৩৭ টি গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকালে ঝালকাঠির প্রতিটি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আশ্রয়নের ভুমি ও গৃহ হস্তান্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। নতুন ঘরের চাবি হাতে পেয়ে খুশি সুবিধাভোগীরা।
তারা বলেন, দেশ স্বাধীনের পরে গরীবের দিকে কোনো সরকার খেয়াল দেয়নাই। অনেকে বলেছেন, সন্তানদের জন্য মাথা গোজার থাই করে দিলো শেখ হাসিনা সনকার।
সদর উপজেলার নির্মল কর্মকার বলেন, ‘মরার আগে নিজে জমি কিননা ঘর বানাইতে পারতামনা, শেখ হাসিনা আমারে ঘরের মালিক বাইয়া দেছে, আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিচছু নাই।
এসময় সকল উপজেলায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুধীজনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- ঝালকাঠিতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত-১